বহু প্রাচীন গাছ নষ্ট করে জলের ট্যাঙ্ক বসানোর অভিযোগ বালুরঘাটে

0
152

বহু প্রাচীন গাছ নষ্ট করে জলের ট্যাঙ্ক বসানোর অভিযোগ বালুরঘাটে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরির বিরুদ্ধে একজোটে সরব বাসিন্দারা, বিক্ষোভ থানাতেও।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৮ ফেব্রুয়ারী —— বিরল ও বহুপ্রাচীন গাছ নষ্ট করে পুরসভার পরিশ্রুত পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর অভিযোগ কে ঘিরে উত্তেজনা বালুরঘাটের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ প্রাচীন মন্দিরের জায়গা দখলেরও। রবিবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ওয়ার্ডের শীতলাতলা এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা জানিয়ে গণ অভিযোগপত্র দায়ের করা হয় বালুরঘাট থানাতেও, দেখানো হয় বিক্ষোভও। যাকে ঘিরেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়।

জানা যায়, শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলাতলা এলাকায় একটি প্রাচীন রক্ষাকালী মাতার মন্দির রয়েছে। যে মন্দিরের পাশেই একটি বহু প্রাচীন ও বিরলতম তমাল গাছ রয়েছে। যে প্রাচীন গাছটি ও মন্দিরটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এর আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে প্রাচীন গাছটি নষ্ট করে ও মন্দিরের জায়গা দখল করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এক প্রকার জোরপূর্বক পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যার বিরুদ্ধেই স্থানীয় বাসিন্দারা একযোগে সরব হলেও তা নিয়ে কোন কর্নপাতই করছেন না এলাকার ওই তৃণমূল কাউন্সিলর শিখা মহন্ত সাহা চৌধুরী বলেও অভিযোগ। আর যার প্রতিবাদেই গণ অভিযোগ পত্র বালুরঘাট থানায় দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয় ঘটনা জানিয়ে বালুরঘাট থানায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। যাকে ঘিরেই এদিন সকাল থেকে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহরের ওই সাত নম্বর ওয়ার্ডে। যদিও বাসিন্দাদের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, উন্নয়নের বিরোধিতা করছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা সনাতন কর্মকার, মিলি সরকার ও বর্নালি দেবনাথ সরকাররা বলেন, এলাকায় ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় কাউন্সিলর জোর করে মন্দিরের জায়গা দখল করে ও প্রাচীন গাছ নষ্ট করে পানীয় জলের ট্যাঙ্কটি বসাতে চাইছে। যার প্রতিবাদেই বাসিন্দারা একজোটে সরব হয়েছেন। তারা চাইছেন পুরনো গাছটি ও মন্দিরের জায়গাটি অক্ষত রেখেই বসানো হোক পরিশ্রুত পানীয় জলের ট্যাঙ্ক টি।

সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিখা মহন্ত সাহা চৌধুরী বলেন, এলাকায় একটি রক্ষাকালী মাতার মন্দির ও পুরনো একটি গাছ রয়েছে একথা সঠিক। তবে বাসিন্দাদের সম্মতি নিয়েই পরিশ্রুত পানীয় জলের ট্যাঙ্কটি বসানো হচ্ছিল। আচমকায় যার বিরোধিতা করছেন কিছু বাসিন্দারা। আসলে এসব করে কিছু মানুষ উন্নয়নকে আটকে দিতে চাইছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here