বুনিয়াদপুর বড়াইল বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে কচিকাঁচাদের সাথে নিজের ছেলের জন্মদিন পালন করলেন এক দম্পতি। ছেলেকে আশীর্বাদ সহ দম্পতিকে ধন্যবাদ জানালেন আশ্রমের কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার বরাইল বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে প্রায় ৮০ জন কচিকাঁচা রয়েছে, এটি একটি জনজাতি সেবা প্রতিষ্ঠান, সুনামের সাথে বেশ কয়েক বছর ধরে কচিকাঁচাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন বনবাসী কল্যাণ সেবা আশ্রম। ধর্ম যারযার উঠসব সবার। একটু অন্যরকম ভাবে বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে গিয়েই নিজের ছেলের প্রথম জন্মদিন পালন করলেন এক দম্পতি। এদিন সন্ধ্যেবেলা আশ্রমে গিয়ে তাদের ছেলের শুভ কামনা চেয়ে আশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে কেক কেটে ও সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে পালন করলেন রিফাত হকের প্রথম জন্মদিন, এর সঙ্গে কচিকাঁচাদের হাতে কলম, মিষ্টি, চকলেট সহ কেক তুলে দিলেন আশ্রমের বাচ্চাদের হতে। সকলে এক সঙ্গে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালন করলেন সঙ্গে জানালেন রিফাতের প্রথম জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা। বুনিয়াদপুর শহরের আলিগাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই দম্পত্তির। লুসি ফারহানার স্বামী বহু দিন ধরে সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সেই দিকটি মাথায় রেখে লুসি ফারহানার ছেলে রিফাত হকের দীর্ঘায়ু কামনা করে সকলের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার আশা করে সৎ ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবার লক্ষ্যে আশ্রমে গিয়ে কচিকাঁচাদের সঙ্গে সময় কাটালেন।
এই বিষয়ে আশ্রমের কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মার্ডি জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে এই আশ্রমটি রয়েছে। এই আশ্রমে বাচ্চাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি বাচ্চাদের দেখাশোনা করা হয়। এখানে প্রায় ৮০ জন বাচ্চা রয়েছে যাদের পড়াশোনার পাশাপাশি থাকা ও খাবার ও দেখাশোনা করার দায়িত্ব আমাদের।
এই বিষয়ে দাম্পত্য লুসি ফারহানা জানিয়েছেন আমার ছেলের দীর্ঘ আয়ু কামনা করে ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবার লক্ষ্যে আশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে ছেলের প্রথম জন্মদিন পালন করলাম। বহুদিন ধরে আমার স্বামী সবার সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত সেই দিকটি মাথায় রেখে আমরা আশ্রমে এসে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটালাম। সকলের কাছে কামনা করি আমার ছেলের দীর্ঘ আয়ু, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও মানুষের মত মানুষ হবার আশীর্বাদ চাইছি।