৩০তমবর্ষে গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার সার্বজনীন লোকসংস্কৃতি বাউল উৎসব কমিটির তরফে পাঁচ দিন ধরে লোকসংস্কৃতি বাউল উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, উদ্বোধক সভাধিপতি-ধর্ম যার যার উৎসব সবার কমিটির তরফে এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠানকে ঘিরে গঙ্গারামপুর ২ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর।হিন্দু,খ্রিস্টান ,বৌদ্ধ মুসলমান সবার মুখে একই নাম। এই গানকে সামনে রেখেই লোকসংস্কৃতি উৎসবে মাতলো এলাকার সর্বধর্মের মানুষজনেরা। ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজার হাটখোলা সার্বজনীন লোকসংস্কৃতি বাউল উৎসবের আয়োজন করে উক্ত কমিটির সদস্যরা।৩০তম বর্ষে তাদের এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপথে চিন্তামনি বিহা,সেখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন,পাঁচ দিন ধরে তাদের লোকসংস্কৃতি বাউল উৎসব অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রচুর ভক্তদের ভিড় হয়েছিল সেখানে। গঙ্গারামপুর শহর ও ব্লকের মধ্যে যে সমস্ত বাউল অনুষ্ঠান গুলি হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার সার্বজনীন লোকসংস্কৃতি ও বাউল উৎসব কমিটি সদস্যরা। শুক্রবার রাতে ফিতে কেটে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা। এরপরেই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সমস্ত উপস্থিত অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয় কমিটির সদস্যদের তরফে।উদ্বোধনী সংগীত গাওয়া হয় হিন্দু,খ্রিস্টান,বৌদ্ধ মুসলমান সবার মুখে একই নাম এই গানকে সামনে রেখেই।কমিটির উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে লোকসংস্কৃতি বাউল অনুষ্ঠান উৎসব করতে দূর দূরান্ত থেকে যেমন বাউল শিল্পীরা এখানে ছুটে আসে তেমনি প্রচুর ভক্তরাও এমন অনুষ্ঠানে হাজির হন।উদ্বোধনের রাতে একটি বিরাট আকারে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা মঞ্চের ফিতে কেটে লোক সংস্কৃতি ও বাউল উৎসবের সূচনা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল,জেলা পরিষদের সদস্য আমজাদ মন্ডল,তপন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি (গঙ্গারামপুর বিধানসভা ) সমীর রাহা,তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা বর্মন,আজমাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রামপ্রসাদ রায়,আজমাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়ন্তী বর্মন ঘোষ,বাউল উৎসবের কমিটির সভাপতি দুলাল রাজবংশী,সম্পাদক বীরেন চন্দ্র রায়,কোষাধ্যক্ষ রঞ্জন মজুমদার,অন্যতম কর্মকর্তা উত্তম ঘোষ,রামু গুপ্তা সহ আরো অনেকেই। এবিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা ও জেলা পরিষদের সদস্য তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানিয়েছেন, এমন অনুষ্ঠানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না লোকসংস্কৃতি উপরে মানুষের কি ধরনের আগ্রহ রয়েছে।ধন্যবাদ জানাই উদ্যোক্তাদের। তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা বর্মন ও আজমত পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামপ্রসাদ রায়েরা জানিয়েছেন,প্রতিবছরের মত এবছরও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। লোকসংস্কৃতি বলে কিছু অজানা জিনিসকে জানা।বহু ভক্তদের ভিড় হয় সেখানে। বাউল উৎসব কমিটির সভাপতি দুলাল রাজবংশী ও সম্পাদক বীরেনচন্দ্র রায়রা জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও আমাকে অনুষ্ঠান ৩০তম বর্ষে পা দিয়েছে।প্রচুর ভক্তের সমাগম হবে এবারও। অনুষ্ঠানের যে কি গুরুত্ব রয়েছে সে বিষয়ে রাখার সমাজসেবী উত্তম ঘোষ সাধারণ মানুষদের সামনে তুলে ধরে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রথম দিনের লোকসংস্কৃতি ও বাউল অনুষ্ঠানের মঞ্চে যাত্রাপালা দেখতে নয়াবাজার হাটখোলাতে ভক্তদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক।
Home উত্তর বাংলা উত্তর দিনাজপুর ৩০তমবর্ষে গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার সার্বজনীন লোকসংস্কৃতি বাউল উৎসব কমিটির তরফে পাঁচ দিন ধরে...