ভোটের প্রচারে বের হবার আগেই ১০ বছরের পুরনো আতঙ্ক তাড়া করলো গঙ্গারামপুরের বিজেপির বিধায়ককে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ঘরে ঢুকলেন সত্যেন।
শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২৮ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর।৷ প্রচারে বের হওয়ার আগেই ১০ বছরের আতঙ্কের ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ঘরে ঢুকলেন বিজেপির বিধায়ক। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হৈচৈ দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যে আলোড়ন পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিধায়কের দাবি ,বহুদিন আগে দুষ্কৃতীরা ষড়যন্ত্র করেছিল বড় কোন ঘটনা ঘটানোর জন্য।গঙ্গারামপুরে খোদ বিজেপির বিধায়কের এমন আতঙ্কের কথা শুনে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করছেন। তাহলে কি লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতেই দলের বিধায়কের এমন কৌশল ? গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় প্রথমে কংগ্রেস রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। সময় বুঝে কংগ্রেস ছেড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যেখান থেকে টিকিট নিয়েই বিধায়ক হন সত্যেন রায়। ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়লেও কংগ্রেস সিপিএম জোট প্রার্থী গৌতম দাসের কাছে হেরে যান। ঠিক সেই বছরই ভোটের সময় গঙ্গারামপুরের হাপুনিয়াতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে লক্ষ্য করে বোম ছুড়েছিল দুস্কৃতিরা। ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিল বেশ কয়েকজন সত্যেন্দ্র রায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাও। সেই সময়েও তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হলেও পরবর্তীতে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর বিজেপিতে গিয়ে টিকিট নিয়ে সেখানকার বিধায়ক হয়েছেন সত্যেন বাবু। এরই মাঝে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তার হয়ে প্রচারের চাপ সামনে আসতেই এদিন নিজের বাড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আতঙ্কের কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ছয় ফুটের উচ্চতার দুষ্কৃতী মুখ চোখ ঢেকে , গায়ে কালো চাদর জড়িয়ে বংশিহারি থানার বাতাসকুড়ি এলাকায় তার বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছে কিছু লোকজন। অনেক সময় গোপনে থাকার পর পুকুর দিয়ে পালিয়েও চলে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। সেই সময় তিনি বাড়িতে না থাকলেও তার ভাই সেই ঘটনার কথা টেলিফোনে তাকে জানিয়েছেন।
বিজেপির বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের দাবি, দশ বছর আগে তাকে একইভাবে পরিকল্পনা করে বড় কোন ঘটনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ফের একই কায়দা অবলম্বন করেছে দুষ্কৃতিরা। তিনি পুরো ঘটনা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।