প্রতিশ্রুতিই সার! পাঁচ বছরেও সাংসদ তহবিলের অর্থ মেলেনি ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান প্রতিস্থাপনে। ক্ষোভের সুর জেলা সৈনিক বোর্ড কতৃপক্ষের গলায়

0
155

প্রতিশ্রুতিই সার! পাঁচ বছরেও সাংসদ তহবিলের অর্থ মেলেনি ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান প্রতিস্থাপনে। ক্ষোভের সুর জেলা সৈনিক বোর্ড কতৃপক্ষের গলায়

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ মার্চ : ————– প্রতিশ্রুতিই সার! পাঁচ বছরেও সাংসদ তহবিল থেকে মেলেনি ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান প্রতিস্থাপনের অর্থ। আগাছায় নিমজ্জিত দেশের বায়ুসেনার বিমান। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরের প্রাক্তন সৈনিক বিভাগে বছরের পর বছর ধরে এমনই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বায়ুসেনার দীপক এইচ পি টি-৩২ জেট প্রপেলার এয়ারক্র্যাফট নামক ওই বিমানটি। যা নিয়ে ক্ষোভের সুর শোনা গেছে সৈনিক বোর্ড কতৃপক্ষের গলাতেও।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনা ও নৌসেনার পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। যে বায়ুসেনার গৌরবজ্বল ইতিহাসকে দেশের নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সৈনিক বোর্ড চেয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমানকে বালুরঘাট জেলা সৈনিক বোর্ডের অফিস চত্বরে প্রতিস্থাপিত করতে। আর সেই হিসাবে বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কাছে বিমান চেয়ে আবেদনও জানায় জেলা সৈনিক বোর্ড। আর এরপরেই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বালুরঘাটে নিয়ে আসা হয় ভারতীয় বায়ুসেনার দীপক এইচ পি টি-৩২ জেট প্রপেলার এয়ারক্র্যাফটটি। যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভারতীয় বায়ুসেনার ওই বিমানটি দেখতে ও তার খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করতে জেলা সৈনিক ভবনে প্রতিদিনই ভিড় জমান খুদে স্কুল পড়ুয়ারা। দেশের বায়ুসেনার ওই বিমান ঘিরে স্কুল পড়ুয়াদের এমন উৎসাহ দেখে সেই বিমানটিকে প্রতিস্থাপিত করার জন্য ২০১৯ সালে সাংসদ তহবিলের অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানায় জেলা সৈনিক বোর্ড। এরপর দীর্ঘ পাচ বছর ধরে চলে শুধু ফাইলের আসা যাওয়া। আজও বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য বরাদ্দ হয়নি কোন অর্থ। আর যার জেরে শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় অবস্থিত জেলা সৈনিক বোর্ডের ভবন চত্বরে আগাছায় নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান দীপক। জেলা সৈনিক বোর্ড সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার ওই বিমানটিকে প্রতিস্থাপনের জন্য মাত্র ৩ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তারা। যে সামান্য পরিমাণ অর্থ বিগত পাচ বছরেও কেন বরাদ্দ করা হল না তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে শুধুমাত্র টাকার অভাবে ভারতীয় বায়ু সেনার ওই বিমানটি এভাবে পড়ে থাকাটা নিজেদের লজ্জা হিসাবেই দেখছে বালুরঘাটের বাসিন্দারা। এদিকে সাংসদের দ্বারস্থ হবার পরেও বছরের পর বছর কেন তাদের ফাইল এভাবে পড়ে থাকলো তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সুর শোনা গেছে জেলা সৈনিক বোর্ড কর্তৃপক্ষর গলাতেও।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সৈনিক বোর্ডের ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজার হেমন্ত কুমার মুখার্জি জানিয়েছেন, বিমানটিকে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়ে সাংসদ তহবিলের অর্থের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সাংসদকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু ফাইল দীর্ঘদিন পড়ে থাকবার পর তা আবার ফেরৎও চলে এসেছে। তিনি আরো বলেন নির্বাচনের পর যেই সাংসদ হোক না কেন, তাকে বলতে হবে। প্রথমে ৩ লক্ষ টাকার এস্টিমেট করে পাঠানো হলেও এখন তার খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here