গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়ায় দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হল৭জন, করা হলো অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ-তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ,শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে গঙ্গারামপুর ৩০ শে মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর। ওয়ার্ডে লোকসভা ভোটের দলীয় পতাকা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে। ঘটনায় দুপক্ষের আহত ৭জনকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১১নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকায়।তৃণমূলের অভিযোগ,এলাকায় তৃণমূলের পতাকা কেন তারা লাগিয়েছে সেই ঘটনা নিয়ে বিজেপি তাদেরকে মারধোর শুরু করে।যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির আক্রান্ত কর্মী ও বিজেপি নেতারা পাল্টা কেন তারা বিজেপি করছে সেই ঘটনার জন্য এমন গোলমাল তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকেরা করেছে বলে দাবি করেছেন।ঘটনার পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে,গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১১নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকাটি তৃণমূলের বরাবরই শক্তিশালী ঘাটি। ওই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কয়েকটি জায়গায় ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে তৃণমূল দলের পতাকা লাগিয়েছিল। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডেই একটি পরিবারের তরফে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে দলীয় পতাকা ১১নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি জায়গাতে লাগানো হয় বলে খবর।উভয়পক্ষের দলীয় পতাকা লাগানো কেন্দ্র করেই শুক্রবার রাতে শুরু হয় গোলমাল।বিজেপি কর্মীরা ১১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সন্তু নন্দী ও তার বাবা কমল নন্দীকে পাড়ার বিভিন্ন জায়গাতে পতাকা কেন তারা লাগিয়েছে এই কথা বলে বেধড়ক মারধর করতে থাকে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের হাতে মারধর খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই দুই কর্মী বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ১১নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী পাপাই অভিযোগ করেন ,কেন তারা তৃণমূলের পতাকা লাগিয়েছে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীরা এই কথা বলে তাদের ওয়ার্ড সভাপতি সন্তু নন্দী ও তার বাবা কমল নন্দীকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বাবা ও ছেলে বিজেপি কর্মীদের হাতে মারধরকে খেয়ে রক্তাক্ত হয়। আশঙ্কা জনক অবস্থায় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী নীলকমল শীলের অভিযোগ, বিনা কারণে এলাকায় তারা বিজেপি কেন করে এবং দলীয় পতাকা কেন তারা লাগিয়েছে পৌরসভা থেকে সরকারি ঘর পাবার পরেও এই কথা বলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা তার ছেলে ধনঞ্জয় শীলকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে পুরানপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের সামনে মারধর শুরু করে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দাদা বাসুদেব শীল, জামাইবাবু, দিদি সতি শীল, ও আমি নীলকমল শীল নিজেও আহত হয়। বর্তমানে আহত হওয়া ৪জনকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই সেখানে যেমন জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস, টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত মুখার্জি সেখানে ছুটে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত মুখার্জি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির পায়ের তলায় মাটির নেই তাই এমন নোংরা রাজনীতিতে নেমেছে তারা। প্রশাসন করা ব্যবস্থা নেবে সে আশাই রাখছি। অন্যদিকে এমন ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে যান জেলা বিজেপি নেতা অশোক বর্ধন ও গঙ্গারামপুর টাউন বিজেপি মন্ডলের সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ বিজেপির নেতা কর্মীরা। জেলা বিজেপি নেতা অশোক বর্ধন অভিযোগ করে বলেন, ভোটে তৃণমূল হারবে বলেই সন্ত্রাস করে কর্মীদের ভয় দেখাতে চাইছে।থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।প্রশাসন তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেই দাবি করেন। এমন ঘটনার বিষয়টি জানার পরেই সেখানে দ্রুত ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্রের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী।ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। গঙ্গারামপুরে মহকুমা পুলিশ আধিকারী দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওয়ার্ডে দলীয় পতাকা লাগানো কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দু’ পক্ষের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেবে। লোকসভা ভোটের মধ্যে দুদলের এমন সংঘর্ষের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পরেছে গঙ্গারামপুর শহরজুড়ে।
Home উত্তর বাংলা উত্তর দিনাজপুর গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়ায় দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি...