হাসপাতালের আউটডোরে নেই ডক্টর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে ডক্টর দেখাতে আশা রোগীরা। রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা

0
302

হাসপাতালের আউটডোরে নেই ডক্টর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে ডক্টর দেখাতে আশা রোগীরা। রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরে রয়েছে একটি মাত্র রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। বংশীহারী ব্লক এলাকার সহ বুনিয়াদপুর শহরের মানুষজন যেকোনো সমস্যা হলেই ছুটে আসে এই হাসপাতলের। বড় কোন সমস্যা হলে সেই হাসপাতাল থেকেই রেফার করা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দিনের বেলা ছোটখাটো সমস্যায় আউটডোরে ডক্টর দেখিয়ে ঔষধ নিতে হয়। আনুমানিক ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত আউটডোরে বসিবার ও রোগী দেখবার সময় রয়েছে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের। রীতিমতো সমস্যা সমাধানের জন্য বহু মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে আউটডোরে ডক্টর দেখাতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও আউটডোরে ছিল না দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এমনটাই অভিযোক ডক্টর দেখতে আসা রোগীদের। আনুমানিক দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত আউটডোরে ছিলনা কোনো চিকিৎসক। ডক্টর দেখাতে আশা রোগীরা ডক্টর কোথায় গিয়েছে জানতে চাইলে কেউ কিছু বলতে পারছে না কোথায় গিয়েছে ডক্টর। হাসপাতালে কর্মরত কর্মীদের কাছে জানতে চাইলেও একটাই কথা এখনই আসবে ডক্টর। আউটডোরে লাইনে শিশু বাচ্চা সহ মা, বয়স্ক মহিলা সহ বহু মানুষ ডক্টরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ডিউটি টাইমে কেনই বা থাকবে না ডক্টর আউটডোরে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডক্টর দেখাতে আসা রোগীরা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় স্টার সংবাদ এর সাংবাদিক। সংবাদ মাধ্যমকে দেখে তড়িঘড়ি আউটডোরে ছুটে আসে দায়িত্বে থাকা ওই চিকিৎসক। পুরো ঘটনার ছবি তুলবার সময় সংবাদ মাধ্যমকে ছবি তোলার বাধা সৃষ্টি করে ও ছবি তোলার পারমিশন চেয়ে ভিডিও ডিলিট করবার হুমকি দেয় দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক। এমন ঘটনায় ডাক্তারদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় রোগীরা।

এই বিষয়ে ডক্টর দেখাতে আসা রোগী শুকলাল হেমরম ও মোকলেসুর রহমান অভিযোগ করে জানিয়েছেন আমরা আউটডোরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি ঔষধ নেবার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই শিশু বাচ্চা সহ মা বৃদ্ধ মহিলা সহ আমরা প্রায় ১:১৫ থেকে ২:১৫ পর্যন্ত ওষুধ নেবার জন্য আউটডোরে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি নেই ডক্টর। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কাছে জানতে চাইলেও তারাও কেউ কিছু বলছেন না ডক্টর কোথায় গিয়েছেন। শুধু একটাই কথা, একটু অপেক্ষা করুন এখনই ডাক্তার আসবে। ডিউটি টাইমে ডক্টর যদি না থাকে বড় সমস্যা হলে তাহলে কি করবে ডাক্তার বাবুরা। আমরা চাই ডাক্তার বাবুরা সময় মতো ডিউটি করুক।

এই বিষয়ে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ পুলকের সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন ডক্টর ডিউটি করতে করতে বাথরুম করতে গিয়েছিল, বেশিক্ষণ না ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত তিনি বাইরে ছিলেন। সকাল থেকে তিনি ডিউটি করছেন বাথরুম তো পেতেই পারে তাই তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন এতে সমস্যা হবার কিছু নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here