জলপাইগুড়ি’তে সিপিএম এর আদিবাসী মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যাকে দলবদলের জন্য বিপুল টাকার প্রলোভন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

0
158

জলপাইগুড়ি:-

জলপাইগুড়ি’তে সিপিএম এর আদিবাসী মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যাকে দলবদলের জন্য বিপুল টাকার প্রলোভন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ । অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। ঘটনায় একজন আদিবাসী মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তার পরিবারের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ । এই ঘটনা আদিবাসী সমাজের অপমান বলে অভিযোগ বাম নেতৃত্বের।

রুবিনা মুণ্ডা নামে ওই মহিলা জলপাইগুড়ির আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তার বাড়ি করলাভ্যালি চা বাগানে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় তিনজন পরিচিত তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে ২০থেকে ২৫ জন রুবিনা মুন্ডার বাড়িতে হানা দেয় এবং তার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেয়। তারপর জোর করে রুবিনার বাবা মোহন মুন্ডার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং তাদের বিছানায় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছুড়ে দেয়। অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা চিৎকার করে বলেন, ” তোদের এক লাখ টাকা দিচ্ছি, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবি কাল।” যদিও ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান রুবিনা ও তাঁর পরিবার। এরপর রবিবার রাতেই
কোতোয়ালি থানায় এসে ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের সিপিআইএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন । সাথে ছিলেন বাম নেতৃত্ব। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে তৃণমূল অন্য দল ভাঙানোর জন্য লাখ লাখ টাকা করচ করছে, অথচ এদিকে চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়নে নজর নেই। বাম নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, তাদের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য রুবিনা মুন্ডা এবং তার বাবা-মাকে সিপিআই(এম) থেকে পদত্যাগ করার এবং তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য শাসক দল তৃণমূলের নেতা এবং গুন্ডাদের দ্বারা একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যা Scheduled Caste and Scheduled Tribe (Prevention of Atrocities) Act, 1989 অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। রুবিনার বাবা-মাকে শাসক দলের এই অকথ্য ভাষায় গালি- হুমকি, উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর ব্যবহার । আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলার প্রতি শাসক দলের মানসিকতার প্রতিফলন এই ঘটনা বলে অভিযোগ । থানার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে আপাতত বাড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ে না থাকলেও তার অসুস্থ বাবা মোহন মুণ্ডা এবং মা অনিতা মুণ্ডা রয়েছেন বাড়িতে। সোমবার তাদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বাম সাংসদ জিতেন দাস এবং সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য তমাল চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, কার্যত ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃনমুল নেতা তথা অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজা মণ্ডল। তার দাবি, নির্বাচনী প্রচার করতে অন্যান্য বাড়ির মত রুবীনা মূন্ডার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। মুছে যাওয়া সিপিএম প্রচারের আলোয় আসতে নিজেরাই টাকা রেখে মিথ্যে অভিযোগ তৈরী করছে।

ভিস বাইট👇

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here