গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধমোড় বিবাদী স্পোটিং ক্লাবের সামনে ৩৬ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা পুকুর দিনে দুপুরে বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ জমির মালিক ও তাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে ,অস্বীকার পুকুর মালিকদের,তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস বিএলএল আরো ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ,শোরগোল এলাকাজুড়ে
গঙ্গারামপুর১২ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর।দিনে দুপুরে শহর এলাকার মধ্য পুকুর জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে জমির মালিক ও তাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধমোড় বিবাদী স্পোটিং ক্লাবের সামনের ঘটনা।এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তিনযুগ অর্থাৎ প্রায় ৩৬বছরের বেশি সময় ধরে সেটা জলাভূমি বা পুকুর ছিল সেখানে মাছ চাষ করতো পুকুরের মালিকেরা বলে দাবি এলাকাবাসীদের। অন্যায়ভাবে পুকুরের মালিক ও তার ছেলেরা দিনে দুপুরে বুজিয়ে শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সমস্যার মধ্যে ফেলে দিতে চলেছেন তারা বলে দাবি তাদের।যদিও পুকুর মালিক ও তার এক ছেলে সুশান্তবাবু তা তার বাবা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চায়নি।তাদের দাবি,এটা বাস্তুজমি আগে থেকেই ছিল তৈরি হয়েছে পুকুর তাই তারা সেই পুকুর বুঝাচ্ছেন।যদিও গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস বলেন,শহরের মধ্য কখনই পুকুর ভরাট করতে পারেনা। তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে বলছে এমন পুকুর ভারাটের কাজটা নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। গঙ্গারামপুর পুরসভার এলাকার যে ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছ তার মধ্য বেশিভাগ জেলাভূমি পুকুর দিনের বেলায় ভরিয়ে ফেলেছে ১৩নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায়।সূত্রে জানা গিয়েছে ,গঙ্গারামপুর পোরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোদনপাড়া বাঁধমোড় জীবন ঘোষের বাড়ির পিছনে থাকা বিরাট আকারের পুকুর দিনের বেলায় বালু পাথর ফেলে ভরাট করে দেয় বছর খানেক আগে।যদিও সেই জায়গাটি পুকুর বলেই উল্লেখ ছিল জমির কাগজে ।এর পাশাপাশি একই ওয়ার্ডে বছর তিনেক আগে ভদনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি বিরাট আকারের পুকুর রাতের অন্ধকারে কয়েকজন বাসিন্দা যুবক মিলে পুকুর বুজিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওটে।সেই ঘটনা নিয়ে বিএলএলআরও অফিস থেকে তখন তাদের বিরুদ্ধে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ প্রশাসন করলে সেই ঘটনার তদন্ত এখন শেষ হয়নি হলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্য কিছুদিন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধমোড় বিবাদী স্পোটিং ক্লাবের সামনে জমির মালিক সুশান্ত বাবু তার ভাইয়েরা ও তার বাবারা মিলে জলাভূমি পুকুর দিনের বেলায় সকলের চোখের সামনে ভরাট করছে বলে অভিযোগ। এবিষয়ে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা তথা গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, বিয়ে হয়ে এসেই দেখছি এটি জলাভূমি পুকুর ছিল। এলাকায় অগ্নিসংযোগে ঘটনা ঘটলেই এই পুকুর থেকেই জল দিয়ে তা নিভানো হত।দিনের বেলায় সকলে চোখের সামনে পুকুর ভরাট করার ফলে আমরা নানান অসুবিধার মধ্যে পড়বো। প্রশাসনের বিষয়টা দেখা উচিত। এবিষয়ে জমির মালিক ও তার ছেলেরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও তারা দাবি করেন,এটা পুকুর নয় ,মাটি কাটার ফলেই এমনটা হয়েছে।নিয়ম মেনেই আমরা কাজ করছি। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন,আপনার কাছে বিষয়টি শুনতে পেলাম পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গঙ্গারামপুর ব্লকের বিএলএল আরও জানিয়েছেন,বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন উঠেছে গঙ্গারামপুর হামজাপুর প্রধান সড়কের পাশে সকলে চোখের সামনে কিভাবে দিনের বেলায় বালি ফেলে ওই পুকুর ভরাট করছে জমির মালিক তার পরেও কেউ দেখেও কিছু বলছে না কেন সে বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই।তাহলে কি ডালমে কুচ কালা হ্যায়।