গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়িতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট করাতে এসে স্কুলের পরিকাঠামোই চরম ক্ষুব্ধ ভোট কর্মীরা,নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা বিডিও- এসডিওরা ফোন না ধরলেও সমস্যার সমাধান করলেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান
গঙ্গারামপুর ২৫শে এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর।ইলেকশন কমিশনের দায়িত্ব থাকা ভোট কর্মীরা ভোট করাতে এসে চরম অবস্থায় পড়লো বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে নেই পানীয় জলের পরিকাঠামো, নোংরা আবর্জনায় ভর্তি, ফ্যান খারাপ সহ নানা বিষয় নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দুটি বুথেরই ভোট কর্মীরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়িতে লোকসভা ভোটের কাজ করতে এসে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোট কর্মীরা।অবশেষে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সমস্যা সমাধান করেন পুরসভা থেকে।নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিডিও থেকে শুরু করে এসডিওর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি, তাই তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে,নির্বাচন করাতে নির্বাচন কমিশনের লোকজনকে যদি এমন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাহলে সেই সমস্যার সমাধান করতে তারা কেন উদ্যোগী বলেন না? গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি ফুটবল মাঠের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি বুট রয়েছে,যার নম্বর (৪১) ৭৭ ও (৪১)৭৮। এই দুটি ভোট কেন্দ্রে মোট ৬জন করে একটি বুথে ভোট কর্মীর পাশাপাশি রয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সেন্ট্রাল বাহিনীর সেনা কর্মীরা এসেছেন লোকসভা নির্বাচন করাতে। সন্ধ্যা হতেই ভোট কর্মীরা শিববাড়ি এই প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলে ঢুকেই দেখতে পান, স্কুলের দুটি বুথেই ভেতরে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি, কল থাকলেও নেই জল, শৌচাগারের অবস্থা ভয়ংকর খারাপ। ফ্যান আছে সুইচ টিপলে তা ঘুরছে না। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখে ভোট করতে আসা ভোটকর্মী ও সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মীরাও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে ভোট করতে আসা দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, ইলেকশন কমিশন কোন ব্যবস্থাই করেনি ভোট করতে আসা ভোট কর্মীদের জন্য। বিদ্যালয়ে নোংরা আবর্জনায় ভর্তি, কল আছে জল নেই, ফ্যান আছে তা ঘুরে না। বারবার জানিয়ে কোন লাভ হয়নি।ভাইস চেয়ারম্যান সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে তাকে ধন্যবাদ জানাই। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, এটা নির্বাচন কমিশনের দেখা দরকার ছিল। বিষয়টি জানার পরেই পৌরসভা থেকে ভোট কর্মীদের সমস্যা দূর করতে বয়ো টয়লেট ,পানীয় জলের সুব্যবস্থা, ফ্যান সরানো সহ তাদের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে যেন ভোট করাতে পারেন ভোট কর্মীরা তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের সেই সমস্যাগুলি সমাধান করার থাকলেও কেন ভোট কর্মীরা এসে ওই সমস্ত স্কুলগুলোতে এমন চরম অবস্থায় শিকার তাদের প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই । যদিও এবিষয়টি জানার জন্য গঙ্গারামপুর ব্লকের ভিডিও ও গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক কে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি তাই তাদের প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি।