ভাঙ্গা ব্রীজ সংস্কারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ। একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের অন্তর্গত ১ নং রামপাড়া চেচড়া অঞ্চলের মাগুরপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ২০০৭ সালে তপন ব্লকের অন্তর্গত ১ নং রামপাড়া চেচড়া অঞ্চলের মগুরপুর এলাকার ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও সেই কাজ এখনো পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি। এই ব্রীজের দুই পাশে নেই কোনো গার্ডওয়াল। ব্রীজে উঠতে ও নামতে দুই পাশেই ফাঁকা ও গর্ত হয়ে রয়েছে। ব্রীজের মচখানে জায়গায় জায়গায় বেরিয়ে পড়েছে রোট। ব্রীজের দুই পাশে গার্ডওয়াল না থাকার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই ব্রীজে। গত মঙ্গলবার এই ব্রিজ থেকে একটি ষাঁড় পড়ে যায়। খাড়িতে জল না থাকার কারণে সেই ষাঁড়টি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়। গত ১৫ দিন আগে একটি টোটো এই ব্রীজ থেকে পড়ে ভেঙে গিয়েছে। মাস খানেক আগে একটি যাত্রী বোঝায় অটো ব্রিজ থেকে পাল্টে খেয়ে যায়। ঘটনায় আহত হয় সেই অটোতে থাকা প্রায় আটজন। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ জীবন হাতে করে নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজের আশেপাশে নেই কোন পথ বাতির ব্যবস্থা। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। একাধিকবার বহু জায়গায় জানানোর পরেও সমস্যা সমাধান হয়নি এখনও। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বুধবার সকালে বলিপুকুর থেকে মাগুড়পুর হয় তপন যাবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ যদি একটি ষাঁড় এই ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে মারা যায় তাহলে মানুষও পড়ে গেলেই মারা যেতে পারে। অতি দ্রুত এই ব্রীজটি সংস্কার না করলে এর থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো বলে হুশিয়ারি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী ও মামুন ইসলাম অভিযোগ করে জানিয়েছেন আমাদের এই ব্রিজের রাস্তাটি বেহাল দশায় রয়েছে। ব্রিজের দুই পাশে নেই গার্ডওয়াল, ব্রিজে উঠতেও নামতে দুদিকেই রাস্তার দুই পাশে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। এছাড়াও ব্রিজের মাঝখানে একাধিক জায়গায় ঢালাই উঠে রোট দেখা যাচ্ছে। এই ব্রিজে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। অটো পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে সাত আট জন, টোটো পাল্টে খেয়ে গিয়েছে একাধিকবার। গতকাল একটি ষাঁড় এই ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। আমরা বহু জায়গায় এই ব্রিজ সংস্কারের কথা জানানোর পরেও সমস্যা সমাধান হয়নি। সেজন্য আজ বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধে নেমে এসেছি। আমরা চাই অতি দ্রুত এই ব্রিজ টি সংস্কার করা হোক। তা না হলে এর থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
এই বিষয়ে তপন ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন যদিও আমাদের এই বিষয়ে জানা ছিল না। আমরা এই ব্রীজটির কথা আজকে জানতে পেরেছি। চেষ্টা করা হচ্ছে তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধান করার।