মালদা- ব্যবসায়ীকে রেস্তোরাঁর মধ্যে বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় বার বার আঘাত। অকথ্য ভাষায় গালাগালি, শূন্যে গুলি ফায়ার করে খুনের হুমকি। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ। তৃণমূল নেতা কর্মীর দাদাগিরিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন। মালদা থানার নারায়ণপুর এলাকার প্রদীপ সরকারের ধাবাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। আহতের পরিবারের লোক মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। ব্যবসায়ী সুনিল চৌরাশিয়া নারায়ণ পুর প্রদীপ সরকারের রেস্তোরাঁয় তাঁর এক বন্ধুর সাথে বসে রাত্রের আহার করছিলেন, সেই সময় মহম্মদ ইয়াসিনের ভাই নাসিম এবং তাঁর অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপান করছিল। তাঁদের সাথে প্রথমে বচসা হয় তার পর হামলা চালায় দলবল নিয়ে নাসিম শেখ। রক্তাক্ত অবস্থায় বাথরুমে লুকালেও বাথরুম থেকেও তাঁকে ধরে এনে মারা হয়। কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। পরে বাইরের লোকজন ছুটে আসতে শুরু হলে এলাকা ছাড়ে তাঁরা। রক্তাক্ত অচৈতন্য সুনিল চৌরাশিয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেআইনি ভাবি গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হয় প্রদীপ সরকারের নারায়ণপুরের এই রেস্তোরা। মেয়েদের নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করে আমত প্রমোদ করা হয় বলেও এমন অভিযোগ। এই রেস্তোরার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এ বিষয়ে বহুবার অভিযোগও করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেয় গ্রামবাসীরা।
অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর জানান, এই ধরনের ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না পুলিশকে বলবো ব্যবস্থা নিতে। এই নিয়ে ওল্ড মালদা পুরসভা সহ অন্যান্য নেতৃত্বের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান, বর্তমানে হোটেল রেস্তোরায় মধুচক্রের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে। টাকার বিনিময়ে পুলিশ এই ধরনের কাজের অনুমতি দিচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনা চলে। এই ধরনের ঘটনায় যে কোনদিন খুন যখম হতে পারে। পুলিশের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে নজর দেওয়া। না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।