ভুতুড়ে কান্ড! টাকা না তুললেও একাউন্ট থেকে উঠে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা

0
207

ভুতুড়ে কান্ড! টাকা না তুললেও একাউন্ট থেকে উঠে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। প্রতিবাদে পার পতিরামের কিয়স্ক সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ মহিলাদের

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ মে ——— ব্যাঙ্কের কিয়স্ক সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র! প্রতিবাদে বিক্ষোভ মহিলাদের। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পতিরাম থানার পার পতিরাম এলাকায়। বিক্ষোভকারী মহিলাদের অভিযোগ, পার পতিরামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কিয়স্ক সেন্টার থেকেই চলছে এই প্রতারণা চক্র। তাদের আরো অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা একাউন্টে ঢুকতেই তা তুলে নিচ্ছে ওই কিয়স্ক সেন্টারের মালিক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে কিয়স্ক সেন্টারের মালিকের তরফে।

জানা গেছে, পার পতিরামের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই কিয়স্ক সেন্টারটিতে এলাকার বাহিচা, পার পতিরাম সহ বেশকিছু এলাকার মহিলারা তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলেছে। অভিযোগ যারপর দীর্ঘ কয়েকমাস অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু কিয়স্ক সেন্টার তাদের কোনভাবেই ব্যাঙ্কের বই প্রদান করছে না। শুধু তাই নয় তাদের আরো অভিযোগ, এদিন ব্যাঙ্ক একাউন্ট চেক করতেই তাদের চোখ কপালে উঠবার জোগাড় হয়েছে। আর যেখানেই সামনে এসেছে ওই কিয়স্ক সেন্টারের প্রতারণা চক্রের অভিনব কায়দা। যার প্রতিবাদেই এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বেশকিছু মহিলারা। বিক্ষোভকারী মহিলাদের অভিযোগ, কিয়স্ক সেন্টারে আসলেই তাদের কাছ থেকে নানা অছিলায় একাধিক ফিঙ্গার প্রিন্টস সংগ্রহ করা হয়। এদিন ব্যাঙ্ক একাউন্ট চেক করতেই তারা দেখতে পান তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা একাউন্টে ঢুকবার পরে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরা টাকা না তুললেও তাদের একাউন্ট থেকে কে টাকা তুলে নিচ্ছে? ভুতুড়ে এই কান্ডের জন্য কিয়স্ক সেন্টারকে দায়ী করেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। যদিও এই অভিযোগ সম্পুর্ন অস্বীকার করা হয়েছে কিয়স্ক সেন্টারের মালিকের তরফে।

বিক্ষোভকারী এক মহিলা সমাপ্তি সরকার বলেন, টাকা না তুললেও তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিয়স্ক সেন্টারে আসলে তাদের কাছ থেকে দু তিনবার করে ফিঙ্গার প্রিন্টস নেওয়া হয়। যার কারণ তারা জানেন না। আবার একাউন্ট করবার পর থেকেই ব্যাঙ্কের বই না দিয়ে তাদের ঘুরিয়ে চলেছে ওই কিয়স্ক সেন্টারের মালিক।

কিয়স্ক সেন্টারের মালিক জয়ন্ত পালের দাবি, একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার যে অভিযোগ তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। ব্যাঙ্ক থেকে তাদের বই দেওয়া না হলে গ্রাহকদের তারা কিভাবে বই দেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here