পুলিশ গোপন সূত্রের খবরে পিস্তল টোটো গাড়িসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করার পরে গঙ্গারামপুর থানার চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরো এক পিস্তল ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ,আবেদন হলো পুলিশ হেফাজতের
গঙ্গারামপুর ২২শে জুন দক্ষিণ দিনাজপুর। পিস্তল,টোটো সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করার পরে পিস্তলের ব্যবসার কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকায়।পুলিশ পিস্তল বিক্রি করার কাজে যুক্ত থাকা এক ব্যবসায়ী সহ দুজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করার পরে শনিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠিয়ে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছে গঙ্গারামপুর থানা।ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, পিস্তল টোটো গাড়ি সহ গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম বিপুল সিকদার (৩৮), ও পিস্তল কেনাবেচার কাজে যুক্ত থাকা অভিযুক্তর নাম অমল সরকার।তাদের দুজনের বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৪নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকায়। গঙ্গারামপুর থানা সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিপুল শিকদারের কাছে একটি পিস্তল রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর আছে গঙ্গারামপুর থানার টাউন অফিসার সমীর কর্মকারের কাছে। তিনি সেই খবর পাবার পরে থানার আইসিকে বিষয়টি জানালে আইসির নির্দেশ পেতেই তিনি টিম নিয়ে গিয়ে বিপুল শিকদার নামে ওই টোটো চালককে পিস্তলসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে শুক্রবার বিকেলে। পিস্তল কোথা থেকে কিনেছে বিপুলকে জিজ্ঞাসা করতেই পুলিশের দাবি, একই এলাকার বাসিন্দা অমল সরকার পিস্তল কেনাবেচার কাছে যুক্ত রয়েছে বলে বিপুল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় বলে পুলিশের দাবি। এরপরেই ঘটনার টাউন অফিসার সমীর কর্মকার ঘটনাস্থলে গিয়ে পিস্তল কেনা বেজার কাজের যুক্ত থাকার ঘটনায় অমল সরকারকেও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার অভিযুক্ত দুজনকেই নির্দিষ্ট ধারা দিয়ে পুলিশ রিমাইন্ড চেয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারি দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গোপন সূত্রের অভিযানের ভিত্তিতে পিস্তলসহ এক যুবককে ধরার পরে পিস্তল কিভাবে তার কাজে যুক্ত অভিযুক্ত অমল সরকারকেও গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ আরো তদন্তের স্বার্থে আদালতে পুলিশ হেফাজত আবেদন করা হয়েছে।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে লেখাজুড়ে।