মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও ঘুমিয়ে পঞ্চায়েত! খোদ প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবারে আস্ত সরকারি পুকুর ভরাটের অভিযোগ বংশীহারির মহাবাড়িতে

0
129

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও ঘুমিয়ে পঞ্চায়েত! খোদ প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবারে আস্ত সরকারি পুকুর ভরাটের অভিযোগ বংশীহারির মহাবাড়িতে

বালুরঘাট, ৬ জুলাই ——- মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও ঘুমিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আস্ত সরকারি পুকুর ভরাট করার অভিযোগকে ঘিরে সরগরম বংশীহারির শ্রীরামপুর এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক আহমেদের বিরুদ্ধেই উঠেছে ওই সরকারি জায়গা দখল করে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ। শনিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সরকারি কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই আব্দুর রাজ্জাক আহমেদ নামে ওই ব্যক্তি পঞ্চায়েতের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পুকুরটি ভরাট করছিল। যা নিয়ে এর আগেই জেলাশাসক থেকে মহকুমা প্রশাসক সকলকেই গণ অভিযোগ পত্র দিয়েছেন গ্রামবাসীরা, কিন্তু তারপরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি প্রশাসন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রশাসনের এই নিশ্চুপতার সুযোগ নিয়েই ওই ব্যক্তি দেদারে ভরাট করছেন আস্ত সরকারী পুকুর। যে ঘটনাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় বংশীহারীর মহাবাড়ি অঞ্চলের শ্রীরামপুর এলাকায়। যদিও ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের অনুমতি নিয়েই তিনি পুকুরটি ভরাট করছিলেন। তবে এর স্বপক্ষে এদিন তিনি কোন কাগজ সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি। যদিও পুকুর ভরাটের কোন অনুমতিই দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মাজেদার রহমান। তিনি বলেন পুকুরের জায়গাটি সম্পূর্ণ সরকারি সম্পত্তি। কিভাবে সেখানে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। জানা যায়, মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের অধীনে একটি বড় মাপের পুকুর রয়েছে। অভিযোগ সেই পুকুরটির চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেদারে পুকুর ভরাট করছেন আব্দুর রাজ্জাক আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে সরকারি ওই সম্পত্তি দিনে দুপুরে দখল করছেন ওই ব্যক্তি তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করে অনেকেই নানা আক্রমণের মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর এরপরেই গ্রামবাসীরা লিখিতভাবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করার গণ অভিযোগ পত্র দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। যদিও সেসবকে তোয়াক্কা না করেই ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি পুকুর ভরাটের কাজ দেদারে চালিয়ে চলেছেন বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। আর যাকে ঘিরেই তুমুল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

আব্দুল সামাদ ও জিয়াউর রহমানরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি জায়গা জোর করে দখল করে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। ঘটনা নিয়ে বাসিন্দারা গণ অভিযোগ পত্র জানিয়েছেন প্রশাসনকে। তারা চান অবিলম্বে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

অভিযুক্ত ব্যক্তি আব্দুর রাজ্জাক আহমেদ বলেন, প্রধানের অনুমতি নিয়েই তিনি পুকুরটিতে মাটি ফেলছেন। এই জায়গাটি তাদের পুর্বপুরুষের।

মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মাজেদার রহমান বলেন, পুকুর ভরাটের কোন অনুমতি পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া হয়নি। ওই জায়গাটি সরকারি সম্পত্তি। উপযুক্ত তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here