মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্ছেদ নিয়ে মানবিকতা বালুরঘাট পুরসভার! ছয়টি হকার জোন তৈরি করে শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস চেয়ারম্যানের
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৪ জুলাই——- হকার উচ্ছেদ নিয়ে এবারে মানবিক হল পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বালুরঘাটে একাধিক হকারজোন তৈরির উদ্যোগ বালুরঘাট পুরসভার। বুধবার ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযানে নেমে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।
প্রসঙ্গত, যেকোনো শহরের ক্ষেত্রেই হকারের মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যা মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রশাসনের। যদিও বালুরঘাটে হকার সমস্যা তেমন নেই। তবুও শহরের থানা মোড়, ডানলপ মোড়, বিশ্বাস পাড়া সহ একাধিক এলাকায় দীর্ঘদিন ফুটপাতের উপরেই দোকান করে আসছেন প্রচুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আর তার জেরে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মূলত চলাচলের রাস্তার পাশেই তারা দোকান তৈরি করায় শহরজুড়ে এই সমস্যা প্রকট হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্রমশ রাস্তায় দোকান বসানো এই হকারদের সংখ্যা শহরে বেড়েই চলেছে। যার জেরে এর রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে শহরে সার্ভে করে হকারদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফুটপাত দখল মুক্ত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে বালুরঘাট পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে একাধিকবার রিভিউ বৈঠকও করা হয়েছে। যেখানে ব্যবসায়িক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বসেছে পুরসভা কতৃপক্ষ। এবারে উচ্ছেদ হওয়া সেই হকারদের পুনর্বাসনের জন্য শহরের ছয়টি জায়গাকে হকার জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছে বালুরঘাট পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর অনুযায়ী, শহরের থানা মোড় এলাকায় গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকা, মঙ্গলপুরের হিলি মোড়, হসপিটাল মোড়, বিশ্বাসপাড়া পেট্রোল পাম্প, পুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা এবং আর্য সমিতির একটি জায়গায় হকার জোন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। এই প্রস্তাবনায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য জায়গা ফাঁকা রেখে তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে পুরসভার তরফে।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘এখানে হকার সমস্যা তেমন নেই। তবু যারা দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতে দোকান করছিলেন তাদের সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হকার জোন তৈরীর পরিকল্পনা চলছে। বিভিন্ন জায়গায় সার্ভে করা হয়েছে। তার মধ্যে থেকে ছয়টি জায়গা হকারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শহরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার পরিবর্তে নির্ধারিত জায়গায় তারা বসবে। তবে যাদের দোকান থাকতেও সরকারি জায়গা দখল করেছিলেন তাদের জন্য এই সুবিধা নয়।’