গ্রামের দূর থেকে আপনার কানে আসবে ঠুকঠাক আওয়াজ। গ্রামে ঢুকতেই দেখা যাবে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। নিজের সাধের বাড়ি নিজ হাতে আত্মীয়স্বজন মিলে ভাঙছেন। বয়স্কদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। বন্যা ভয় নেই, রয়েছে ভাঙ্গন ভয়। মূল গঙ্গা নদী বাড়ি থেকে সামান্য দূরে।কিন্তু নদীর জল উপচে বাড়ির গোড়া পর্যন্ত। যেকোনো মুহূর্তে বাড়ি গুলোকে নিজ গর্ভে গঙ্গা নিয়ে নিতে পারে। মালদার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চলের কামালতিপুর, হুকুমত টোলা ও ঈশ্বর টোলা এলাকার নদী লাগুয়া বাসিন্দারা নিজ বাড়িঘর ভাঙতে শুরু করেছেন। সারি সারি লাইন ধরে ট্রাকটারে করে বাড়ির জিনিসপত্র দূর আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে কোন নিরাপদ আশ্রয় যাবেন তা ভাবতে পারছেন না। মানিকচক ব্লক প্রশাসনের তরফে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ও নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ভাঙ্গন কবলিতদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারব। কিন্তু ভাঙ্গন হচ্ছে। আমাদের জমি জমা সব নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। আর ভিটে মাটি নেই। বন্যা শেষে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কথাই যাবো? এটা ভাবতেই রাতের ঘুম উড়েছে তাদের। যারা বাড়িঘর ভাঙছেন তারা কি বলছেন শুনুন তাদের মুখে