বাল্যবিবাহ রুখে কন্যাশ্রী দিবসে পুরস্কৃত হল একাধিক স্কুল ছাত্রী

0
18

বাল্যবিবাহ রুখে কন্যাশ্রী দিবসে পুরস্কৃত হল একাধিক স্কুল ছাত্রী। বিশেষ পুরস্কারে সন্মানিত দক্ষিণ দিনাজপুরের সেরা তিন কলেজ ও স্কুল

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৪ অগাস্ট —-– কন্যাশ্রী দিবসে পুরস্কৃত জেলার সেরা তিনটি স্কুল ও কলেজ। বুধবার বালুরঘাটের জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বালুছায়া সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে ট্রফি ও শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। একইসাথে নিজেদের বিয়ে রুখে দিয়ে বাল্যবিবাহ রোধ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন জেলার বিভিন্ন স্কুলের কন্যাশ্রী ছাত্রীরা। যাদেরকেও বিশেষ ভাবে সম্মানিত করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা, সহ-সভাপতি অম্বরিশ সরকার, জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, অতিরিক্ত জেলাশাসক হ্যারিস রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাসদা প্রমূখ। এদিন সকালে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ঘিরে শহরজুড়ে একটি ট্যবলো বের করা হয়। যেখানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। কন্যাশ্রীর ১১ তম বর্ষ উদযাপন মঞ্চে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা নাচ ও গান মঞ্চস্থ করেন, পাঠ করেন শপথ বাক্যও। পাশাপাশি, মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য মার্শাল আর্টের প্রদর্শনী চলেছে এদিন। যেসব ছাত্রীরা সাহস নিয়ে সময়ের আগেই নিজেদের বিয়ে রুখে দিয়েছেন তাদের ৫০০০ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। এদিন তাদের ট্রফি-শংসাপত্র সহ প্রতিকী চেকও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার শতাধিক স্কুলগুলির মধ্যে থেকে বংশীহারী বালিকা বিদ্যালয় প্রথম, আশুতোষ বালিকা বিদ্যাপীঠ দ্বিতীয় ও গঙ্গারামপুর গার্লস হাই স্কুলকে তৃতীয় করা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার কলেজগুলির মধ্যে থেকে গঙ্গারামপুর কলেজকে প্রথম, বালুরঘাট কলেজকে দ্বিতীয় ও পতিরাম যামিনী মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজগুলির কন্যাশ্রী বিষয়ে কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করে সেরা তিনটি স্কুল ও কলেজকে নির্বাচন করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।

জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘ছাত্রীদের জন্য এই কন্যাশ্রী প্রকল্প এখন বিশ্ব দরবারে সুনাম পেয়েছে। মেয়েদের স্বাধীন, স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। জেলা প্রশাসন বাল্য বিবাহ রোধে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। এমন খবর পেলেই সেই কন্যাশ্রী মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো হয়।’

ছাত্রী কাজল সরকার বলেন ‘আমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। তখন স্কুলে গিয়ে দিদিরমনিদের বিষয়টি জানাই। তারা প্রশাসনের সাহায্যে আমার বিয়ে আটকে দেয়। তারপরে আর বাড়ি থেকে বিয়ের কথা বলেনি। এখন আমি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছি। আজ পুরস্কৃত হয়ে ভাল লাগছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here