সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক নাবালক সহ দুই রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের,

0
194

গঙ্গারামপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকার ভাদ্রা গ্রামে সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক নাবালক সহ দুই রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের, মৃতের পরিবার গুলিতে শোকের ছায়া, তদন্তে পুলিশ গঙ্গারামপুর ,২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর : সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খুলতে গিয়ে মৃত্যু হল এক নাবালক সহ তিন রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের। সোমবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকার ভাদ্রা গ্রামে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনজনকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরে সেখানে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবার সহ এলাকারজুড়ে। গঙ্গারামপুর থানা ও মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ,মৃতরা হলেন রাজমিস্ত্রি হান্নান মিঁয়া (৩৫)। রাজীব রায় (৩৮) ও রহিত মিঁয়া (১৪)। তাদের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকার কুমারগারা,দিঘিশাল ও ভাদ্রা গ্রামে।
জানা গিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার ভাদ্রা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল মিঁয়া। তিনি নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন কিছুদিন আগে। কিছুদিন আগে সেপটিক ট্যাংকের ঢালাই এর কাজ করা হয়েছিল ।এদিন দুপুরে স্যাটারিং খুলতে গিয়েছিলেন তিনজন রাজমিস্ত্রি হান্নান মিঁয়া ও রাজীব রায় ওই নাবালক । সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে স্যাটারিং খোলার সময় আটকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গেলেও তাঁরা ওপরে না ওঠে আসায় তাদের দেখতে যায় রহিত। সেও নিচে পড়ে যায়।এরপর আরেকজন দেখতে গেলে পড়ে যায়। সেসময় বিষয়টি নজরে আসে।এরপর তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বর কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের আত্মীয়-স্বজন ও পরিজনের। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র সহ থানার অফিসারেরা।
মৃত এক শ্রমিকের স্ত্রী নুরফা বিবি বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে স্বামী সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খুলতে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় জানতে পারি অঞ্জান হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল নিয়ে আসতে বলে মারা গিয়েছে । তিনি বলেন এভাবে ঘটনা ভাবতে পারতে পারছি না।
গ্রামবাসী মোমিনুর আলি বলেন, আমাদের গ্রামে মকবুল মিঁয়া বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের নিচে স্যাটারিং খুলছিল রাজমিস্ত্রিরা।সেসময় আটকে পড়ে। তাদের আটকে থাকতে দেখে ১৪ বছরের নাবালক তুলতে গেলে সেও নিচে পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকায় ঞ্জান হারায়।বেশ কিছুক্ষণ পর জানা যায় তারা নিচে আটকে পড়েছে। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তিনজনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী নাসির মিঁয়া বলেন ,আমাদের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খোলার কাজ হচ্ছিল। সেসময় রাজমিস্ত্রিরা ভেতরে আটকে গিয়েছিল। তাদের দেখতে যায় আমার ভাই। সেও নিচে পড়ে যায়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু তাদের বাচানো গেল না। বাসুরিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন,কুমার মিঁয়ার বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের স্যাটারিং খোলার জন্য দুইজন নিচে গিয়েছিল। সেসময় দুইজন আটকে যায়। তাদের তুলতে গিয়ে একজন নাবালক পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকে নীচে।তারপর তাদের উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তিনকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এমন ঘটনায় মৃতের পরিবারসহ এলাকাজুড়ে ছায়া নেমে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here