একটি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে চলছে চারটি ক্লাস,১৪ বছর ধরে ছাদহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুটি শ্রেণি কক্ষ
হরিশ্চন্দ্রপুর :১৭০ জন পড়ুয়া,দুইজন শিক্ষিকা একটি মাত্র শ্রেণি কক্ষের মধ্যে চলছে চারটি ক্লাস।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের তুলসীহাটা কেলাবাড়ি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,২০০২ সালে কেলাবাড়ি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি চালু হয়।সেই সময় তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৩,৬৩,৮৮৪ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি শ্রেণি কক্ষ।এরপর ২০১০ সালে আরো দুটি শ্রেণি কক্ষ তৈরি করা হলেও এখনো পর্যন্ত শ্রেণি কক্ষ দুটির ছাদ হয়নি। অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে শ্রেণি কক্ষ দুটি।এর ফলে বাধ্য হয়েই একটি শ্রেণিকক্ষেই চলছে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস।ছাদ না থাকার কারণে রৌদ্র বৃষ্টিতে কক্ষ দুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।দেওয়াল থেকে ইট খসে পড়ছে।অপরদিকে বিমের চাঙড় খসে পড়ছে।বেরিয়ে এসেছে লোহার রড।যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষিকারা।অবস্থা এমনই যে ওই স্কুলে ভয়ে পড়ুয়াদের পাঠাচ্ছে না অভিভাবকদের একাংশ।ক্রমেই স্কুলে কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যা।এদিকে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্কুল বিল্ডিং সংস্কারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতর।যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সায়েদা খাতুন বলেন,স্কুলে মাত্র দুইজন শিক্ষিকা আছে।খাতা কলমে ১৭০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকলেও ৩০-৪০ জন স্কুল আসে।২০১০ সালে দুটি শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল।১৪ বছর কেটে গিয়েছে।এখনো পর্যন্ত ছাদ হয়নি।একটি মাত্র শ্রেণি কক্ষের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন।একটি রুমে চারটি ক্লাস হওয়ার কারণে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।স্কুলের শৌচালয়গুলি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।স্কুলে কোনো পানীয় জলের ব্যবস্থা নেয়।মিড ডে মিল রান্নার জন্য কোনো রান্নাঘর নেই,শিক্ষিকাদের জন্য অফিস রুম নেই।অফিসের কাজ চলে শ্রেণি কক্ষের এক কোণে।আমরা ব্লক নোডাল অফিসারকে একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়েছি।হয়নি কোনো সমাধান।