শীত বাড়তেই বংশীহারী ও হরিরামপুরে একই রাতে পৃথক পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটলো
শীতল চক্রবর্তী বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুর ২৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর:-শীত বাড়তেই ফাঁকা বাড়ির সুযোগে আবারোও একাধিক জায়গায় চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। পর পর দুটি থানায় এলাকার পৃথক পাঁচটি জায়গার বাড়ি গুলিতে চুরি হবার পরেও এখনো অধরা চোরের দল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাগুলি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার বুনিয়াদপুর শহরে ও হরিরামপুর থানার ধনাইপুরে। দুটি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিকেরা।পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
জানা গিয়েছে ,বংশীহারী থানার বুনিয়াদপুর শহরে আবারো ফাঁকা বাড়ির সুযোগে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য।বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে চোরের দল বুনিয়াদপুর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড বড়াইল কোটপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ কুমার করের বাড়িতে লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া বাড়ির মালিকদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ কুমার কর সপরিবার নিয়ে ছেলের যোগাসন প্রতিযোগিতার জন্য শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন ২১ ডিসেম্বর।ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে রাতের অন্ধকারে চোরের দল দরজার গ্রিল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটায়।বাড়ির ভিতরের আলমারি ও শোকেস ভেঙ্গে প্রায় ৭ভরি সোনা সহ ৬ হাজার টাকা নগদ চুরি হয় বলে বাড়ির মালিকদের দাবি। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বাড়ির মালিক প্রদীপ কুমার কর সহ তার পরিবারের লোকজনেরা।বংশীহারী থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ছুটে এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে।একইভাবে বুনিয়াদপুর শহরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাড়িতেই চুরির ঘটনা সামনে এসেছে বহুবার।পাশাপাশি আরো কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বাড়ির মালিক প্রদীপ কুমার কর অভিযোগ করে বলেন,আমরা শিলিগুড়িতে গিয়েছিলাম সপরিবারে।ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে গ্রিল ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছিল যা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। আরেক চুরি হওয়া বাড়ির মালিক জানিয়েছেন,এখনতো দেখছি বাড়ি ছেড়ে বের হয় অসম্ভব।পুলিশে জানিয়েছি ,তদন্ত করলেই সব বের হবে। অন্যদিকে শীত যতই বাড়ছে ততোই চুরির সংখ্যাও বাড়তে চলেছে বিভিন্ন এলাকায়। হরিরামপুর থানার ধনাইপুরে এলাকায় দুটি বাড়িতে ভয়ানক চুরি ঘটনা ঘটেছে।সেখানে প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে গেছে চোরের দল বলে অভিযোগ উঠেছে। চুরি গেছে সোনার গণনার সহ যাবতীয় জিনিসপত্র বলে দাবি তার। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিক হরিরামপুর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছে,পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তরা অবশ্যই ধরা পড়বে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি পুলিশও শীতঘুমে ব্যস্ত রয়েছে,রাত পাহারা দেবার পুলিশেরা কি করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই?