উচ্চশিক্ষার জন্য বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে স্কুলগুলোতে,২৯তম জেলা বইমেলায় বুনিয়াদপুরে এসে এমনটা জানালেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুলাহ চৌধুরী,মেলা চলবে আগামী ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত
গঙ্গারামপুর ৬ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর: মোবাইল ছাড়ুন বই পড়ুন,এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ২৯তম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মেলা অনুষ্ঠিত হলো বুনিয়দপুর ফুটবল ময়দানে।বইমেলায় যোগ দিয়েই রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী জানিয়েছেন,উচ্চশিক্ষার জন্য বইয়ের দরকার হলে লাইব্রেরী থেকে স্কুলে পৌঁছাবে আমাদের দপ্তরের বই। লাইব্রেরীগুলোতে বিনামূল্যে বই পড়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।রাজ্যের অপর মন্ত্রী জানালেন,সকলেই আসুন বই পড়ুন।আগামী ১৩জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ফুটবল মাঠের জেলার এই বইমেলা। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ২৯তম বইমেলা বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।বইয়ের জন্য হাটুন এই স্লোগানকে সামনে রেখে এদিন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, অপর ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা সহ বিশিষ্টজনেরা বুনিয়াদপুর শহর পরিক্রমা করেন। মিছিলে পা মেলান বুনিয়াদপুর শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা। মিছিল শেষে ফিতে কেটে স্টলের উদ্বোধন করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লব মিত্র, সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা সহ উপস্থিত আরো অনেকেই।প্রদীপ উজ্জ্বলন ও সাদা পায়রা ,২৯টি বেলুল উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও বিপ্লব মিত্র।উপস্থিত বিশিষ্টজনদের বরণ করে নেওয়া হয় বইমেলা উৎসব কমিটির তরফে। বইমেলা উৎস কমিটি সূত্রের খবর,কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় ৯৬টি খ্যাতনামা বই বিক্রিতারা দোকান বসিয়েছেন,রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থাও। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, লাইব্রেরী গুলিতে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বহু টাকার বই ও লাইব্রেরী গুলোতে দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষার জন্য লাইব্রেরী থেকে বিনা পয়সায় স্কুলে বই পৌঁছানো হবে। জেলার দুটি স্কুলে উন্নতি উন্নয়নের প্রতিবন্ধী স্কুলের জন্য টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে।সকলের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার ,মোবাইল ছাড়ুন বই পড়ুন।বইয়ের বিকল্প কিছু হতে পারে না। হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন,”আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা।ফুটবল মাঠে সকলেই আসুন বই পড়ুন। বইয়ের বিকল্প কিছু হতে পারে না”। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন,”জেলায় বিভিন্ন এলাকাতেই প্রতিবছর বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে বইমেলাতে আসার আহ্বান জানাই”। জেলা গ্রন্থাগারিক আধিকারিক তন্ময় সরকার বলেন, “বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতেই বিভিন্ন ধরনের নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে”। এদিন অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেকটি স্টল পরিদর্শন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ,অপর মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, সভাধিপতি চিন্তা মনি বিহা, জেলাশাসক বিজিনি কৃষ্ণা, গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক,বালুরঘাট বুনিয়াদপুর ,গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, বইমেলা পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য সুভাষ ভাওয়াল, গণেশ প্রসাদ সহ আরো অনেকেই। বই মেলার উদ্বোধনের দিনেই বই বিক্রিতে দোকান গুলোতে ভিড় হয়েছিল ভালই।