রাতারাতি জমির চরিত্র বদল! বংশীহারির শ্রীরামপুরে দেদার পুকুর ভরাট, স্থানীয়দের বিক্ষোভে থামল কাজ
দক্ষিণ দিনাজপুর, ৮ জানুয়ারী —— বুধবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীর শ্রীরামপুরে ৩২ শতক পুকুর ভরাটের ঘটনায় উত্তেজনার পারদ চড়ল। স্থানীয়দের প্রবল আপত্তি ও বিক্ষোভের জেরে প্রশাসন বাধ্য হয়ে ভরাটের কাজ বন্ধ করে।
অভিযোগ, পুকুরের মালিক নওয়াজ শরীফ আহমেদ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাট করার চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, এমন বড় পুকুর ভরাট হলে পরিবেশের বিপর্যয় অনিবার্য। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতিতে চরম বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “পুকুর ভরাট হলে জলাধারের অভাব তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে গ্রামবাসীদের জীবনযাপনে বিরাট প্রভাব ফেলবে।”
এদিন যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় প্রশাসন। বংশীহারী বিডিও সুব্রত বল জানান, জমির কাগজপত্রে সেটি ভিটে জমি হিসাবে উল্লেখ থাকলেও, পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভরাটের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুকুর মালিকের অবশ্য দাবি, বহু বছর আগে ভিটে জমির মাটি কেটে নেওয়ার ফলে সেটি পুকুরে পরিণত হয়েছিল। তাই জমি পুনরুদ্ধারের জন্যই ভরাটের কাজ শুরু হয়। তবে স্থানীয়রা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে গোপনে পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল।
এই ঘটনার পর শ্রীরামপুর এলাকায় জলাশয় সংক্রান্ত জমি রক্ষার দাবি জোরদার হয়েছে। প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টই এখন নির্ধারণ করবে, পুকুর থাকবে নাকি জমি।