গঙ্গারামপুর শহর এলাকার বিদ্যালয় গুলিতে হাতে গোটা ছাত্র-ছাত্রী

0
51

গঙ্গারামপুর শহর এলাকার বিদ্যালয় গুলিতে হাতে গোটা ছাত্র-ছাত্রী,মিডডে মিলে মাংস খাইয়েও আসছে না ছাত্রছাত্রীরা “অভিযোগ”

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৩০ ,জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর: শহর এলাকার বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে দিনের পর দিন কমছে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা।কোন বিদ্যালয়ে রয়েছে ৫০জন ছাত্র-ছাত্রী,আবার কোথায় ৩০-৪০জন করে ছাত্রছাত্রী রয়েছে।ওই সমস্ত বিদ্যালয় গুলির প্রধান শিক্ষকেরা দাবি করেছেন,বেসরকারি স্কুল গুলোতে ভর্তির বয়সের সময়সীমা কম থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বহুদিন ধরেই।তাছাড়া বিদ্যালয় গুলিতে বেশকিছু পরিকাঠামোর বহুদিন ধরে সমস্যা সমাধান হচ্ছে না সরকারি বিদ্যালয় গুলিতে। প্রধান শিক্ষকেরা পকেটের টাকা দিয়ে মাছ ,মাংস মিডডে মিলের খাবারে বরাদ্দ করলেও বিদ্যালয় মুখি হচ্ছে না ছাত্রছাত্রীরা।বিভিন্ন সময়ে তারা প্রচার করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় মুখি করার।যদিও গঙ্গারামপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভালো পড়াশুনা হয়।শহরের অভিভাবকেরা তাদের ছেলেমেয়েদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে অনীহা প্রকাশ করছে।গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার সরকারি সুবিধা নিয়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয় পড়াশোনা করছে।আমাদের তরফে প্রচার অভিযান চলবে।
গঙ্গারামপুর সার্কেল দপ্তর সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর শহরে ১৮টি ওয়ার্ড ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ব্লকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব মিলিয়ে মিলিয়ে মোট ৫৯টি স্কুল রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৬৩০০ জন।শহরের বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে ২৭৮ জন।গঙ্গারামপুর পৌরসভা এলাকার মধ্যে যে ২৮টি বিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫০ এর উপর-নিচে রয়েছে। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোদনপাড়া জিএসএফ পি(টু)প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫১সালে গড়ে ওঠে ৮শতক জায়গার উপরে।সেখানে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫০এর উপরে। ২০১১সালে থেকেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন প্রসেনজিৎ কুণ্ডু ।রয়েছে ৬জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ২০১৪সাল থেকে বিদ্যালয়ের দ্বিতলের পরিকাঠামো সেই অর্থে ভালো নেযই।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজে উদ্যোগ নিয়ে পানীয় জলের সুব্যবস্থা করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধায় বলে খবর। পৌরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের ভোজনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।সেখানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় টেনেটুনে ৫০ গণ্ডিতে পৌঁছেছে।একই অবস্থা রবীন্দ্রস্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও।পুরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা।সরকারি স্কুলগুলো ছাত্র-ছাত্রী শহরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর ছাত্রসংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক বিষয়। প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ কুণ্ডুর মতে,”বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তির বয়সসীমা কম থাকায় অনেক অভিভাবক শুরুতেই তাঁদের সন্তানদের সেখানেই ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি সরকারি বিদ্যালয়গুলোর পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমাধান না হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে আস্থা কমছে।মিডডে মিলে মাছ ,মাংস খাওয়ালেও বিদ্যালয় মুখি হচ্ছে না ছাত্রছাত্রীরা।তবে তারা চেষ্টা করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয় নিয়ে আসার”। গঙ্গারামপুর জিএসএফপি (টু)বিদ্যালয় ভোজনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা বলেন,প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম যদি পর্যন্ত প্রতিটি ঘরে ১০জন করে ছাত্র ছাত্রী নেই।ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলে তো ভালই হয়। গঙ্গারামপুর সার্কেলের শিক্ষা দপ্তরের পরিদর্শক এনামুল শেখ জানিয়েছেন,”সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষার মান যথেষ্ট ভালো,অভিভাবকেরাই তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছে না। চেষ্টা করছে এই পরিস্থিতি পাল্টানোর”। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন,”সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে বলে তিনি মানেন না।পুরসভা থেকে প্রচার করা হবে যেন সরকারি বিদ্যালয়ে শহরের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করান”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here