বালি মাফিয়াদের কারণে এলাকায় ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা, অবরোধ করে আন্দোলন শিববাড়িতে
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৪ই ফেব্রুয়ারি।রয়েলিটি ফাঁকি দিয়ে বালি মাফিয়াদের অত্যাচারে এলাকায় ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা। মঙ্গলবার এলাকাবাসীরা এক অষ্টম শ্রেণি ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করে আন্দোলনে নামল।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি এলাকার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ,বালি মাফিয়াদের কারনেই ঘটে চলেছে এমন ঘটনা।এলাকায় রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় যা বালি জমা হয়েছে তাতেই ঘটে চলেছে এমন ঘটনা।ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। তারা বাসিন্দাদের বুঝিয়ে দীর্ঘ সময় পর অবরোধ তুলে নেয়। পুলিশ সূত্রের খবর,গঙ্গারামপুর থানার কেশবপুর গ্রামের নাবালিকা নিপ্পা এক্কা,হোলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্ঠম শ্রেনীর ছাত্রী।মঙ্গলবার সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল সে। শিববাড়ি আসতে একটি বেপরোয়া একটি পিক আপভ্যান নিপ্পাকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় সে। ঘটনার পর আহত ছাত্রীকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসায়।এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন।ঘটনায় গঙ্গারামপুর হামজাপুর রাজ্য সড়ক ও মিশনমোড় পকেট রুটে যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ,বালি মাফিয়া জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহুর কিসমত এলাকার বাসিন্দা, ইব্রাহিম, নারসেদেরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বালি জমা করে করে গাড়ির মাধ্যমে বিক্রি তা বিক্রি ফলে এলাকায় ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। রাস্তাঘাট বালিতে ভরে গিয়েছে। পথ চলতে সমস্যায় পড়ছে মানুষজনেরা। এলাকাবাসী জয়দেব সরকার, সম্রাট মন্ডলেরা অভিযোগ করে বলেন,বালি নিয়ে সমস্যা শেষ নেই। আমরা চাই সমস্যা মিটাক প্রশাসন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর ট্রাফিক ওসি রজত প্রধান ,থানা টাউন অফিসার বিশ্বজিৎ বর্মন ও উপ পুরপ্রধান জয়ন্ত কুমার দাস।বেপরোয়া বালির ট্র্যাক্টর ও পিকআপভ্যান চলাচলের প্রতিবাদে সরব হয়। বেশ কিছু সময় পর পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, শিববাড়ি থেকে মিশনমোড় পকেট রুটে বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। বহু ছেলে মেয়ে রাস্তাটি দিয়ে যাতাযাত করে। এদিন স্কুলে যাবার সময় পিকআপভ্যানের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রী জখম হয়েছে।এই ঘটনা কখনো কাম্য নয়। স্কুল সময়ে যাতে ট্র্যাক্টর ও মালবোঝাই যানবাহন স্কুল রুট গুলিতে চলাচল না করে সেই বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। বালি মাফিয়া ইব্রাহিম ও নাসেদেরা তাদের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।