মহকুমা আদালত আছে, নেই সংশোধনাগার, সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ, ভোগান্তিতে সকলেই,
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৯ ফেরুয়ারি।২৭বছর আগে মহকুমা আদালত গড়ে উঠলেও বর্তমান সময়েও তৈরি হয়নি মহকুমা সংশোধনাগার।এর ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমার আদালতের বিচারাধীন বন্দীদের বালুরঘাট জেলা সংশোধনাগার মঙ্গলপুর থেকে মহকুমা আদালত বুনিয়াদপুর নিয়ে যেতে গেলে প্রতিদিন ৬০কিলোমিটার করে ১২০কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়। অভিযুক্তদের নিয়ে আসতে যেমন সমস্যা হতে পারে, তেমনি বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের বলে অভিযোগ উঠেছে।মহকুমা আদালতে বিচারাধীন বন্দির আত্মীয় থেকে সভাপতি, সম্পাদকেরা সংশোধনাগার তৈরি করার দাবি করেছেন।মহকুমা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। ১৯৯৮ সালে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত বুনিয়াদপুরে ভাড়া বাড়িতে গড়ে ওঠে।২০২২সালে সরকারের তরফে নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হয়। মহকুমা আদালতে মোট চারটি আদালত রয়েছে। গঙ্গারামপুর মহকুমার গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর,হরিরামপুর, কুশমন্ডি মতো চারটি ব্লক ও দুটি পুরসভা এলাকার প্রায় প্রায় ৫লক্ষ ৫০হাজার মানুষজনেরা তাদের প্রয়োজনে এসিজেএম আদালত,জেএম আদালত,এডিজে আদালত,সিভিল আদালত সহ অ্যাডিশনাল পকসো আদালত মামলার বিচারের কাজ করে থাকেন।নতুন করে গঙ্গারামপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরো তিনটি আদালতের দাবি জানানো হয়েছিল,যা সিভিল জজ সিনিয়ার ডিভিশন,স্পেশাল পকসো আদালত,ও জেএম ২-আদালত।প্রতিদিন বুনিয়াদপুর থেকে বালুঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০কিলোমিটার করে ১২০কিলোমিটার দূরে বিচারাধীন বন্দিদের নিয়ে যাওয়া হয় এবং আদালতের সময় অনুযায়ী তাদের আবার বালুরঘাট জেলা সংশোধনাগারে ফেরত আনা হয়।একদিকে যেমন বছরে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে তেমনি, গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও অভিযোগের তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের এক দুদিন জেলে থাকতে হয়েছে আদালত থেকে জামিন পাবার পরে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও মহকুমা আদালতের সঙ্গে মহকুমা সংশোধনাগার তৈরি হতো তাহলে এই সমস্যা দূর হতো মনে করছেন আইনজীবী মহল। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে প্রায় ২৫০জন আইনজীবী রয়েছেন।তার মধ্য ১৯০জন মামলার কাজ করে থাকেন বলে বুনিয়াদপুর বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে। বুনিয়াদপুর বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে,১৯৯৮ সালে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত বুনিয়াদপুরে ভাড়া বাড়িতে গড়ে ওঠে।২০২২ সালে সরকারের তরফে নতুন বিল্ডিং তৈরি করা হয়। মহকুমা আদালতে মোট চারটি আদালত রয়েছে।এসিজেএম আদালত, জেএম আদালত,এডিজে আদালতে,সিভিল আদালত সহ অ্যাডিশনাল পকসো আদালতে রয়েছে।নতুন করে গঙ্গারামপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরো তিনটি আদালতের দাবি জানানো হয়েছিল।সেগুলি হল সিভিল জজ সিনিয়ার ডিভিশন,স্পেশাল পসকো আদালত,ও জে এম ২- আদালত। এতদিন ধরে মহকুমা সংশোধনাগার তৈরি হলে প্রতিদিন বালুঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০কিলোমিটার দূরে বিচারাধীন বন্দিদের নিয়ে যাওয়া হয় এবং আদালতের সময় অনুযায়ী তাদের ফিরিয়ে আসা হয় ১২০ কিলোমিটার করে।একদিকে যেমন বছরে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে তেমনি, গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও অভিযোগের তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের এক দুদিন জেলে থাকতে হচ্ছে জামিন পাবার পরে।গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে প্রায় ২৫০জন আইনজীবী রয়েছে,তার মধ্য ১৯০জন আদালতে মামলা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন।মহকুমা আদালত সূত্রে খবর,২০২৩সালে আদালতে মোট ১৩৫০টি মামলা হয়েছে।২০২৪ সালে যার পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ১৫৫২টি।এছাড়াও এনডিপি এস কোট রয়েছে জেলা সদর বালুরঘাট আদালতে।সব মিলিয়ে প্রতিবছর মহকুমা জুড়ে ২০০০/২৫০০ মত মামলা হয়ে থাকে বলে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত বুনিয়াদপুরে বলে জানা গিয়েছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর এক অভিযুক্তের আত্মীয় কেতু দেবনাথ জানিয়েছেন,”জামিন হবার পরেও আমার আত্মীয়কে বালুরঘাট সংশোধনাগার থেকে কাগজপত্রে সই করে আসতে দুদিন সেখানেই থাকতে হচ্ছে।মহকুমা সংশোধনাগার তৈরি হলে এই পরিস্থিতি হত না বলে আইনজীবীরা মনে করেন। তারা চান আদালতের পাশেই মহকুমা সংশোধনাগার গড়ে উঠুক”। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী রঞ্জন পান্ডে (বুগলি)জানিয়েছেন,”বহু অভিযোগের নাম উঠা বাসিন্দাদের বিচারের পরে আদালতের তরফে জামিন মিললেও কাগজপত্র বালুরঘাট সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্তদের সই করা কাগজ আসতে দুদিনের উপরে সময় লেগে যায়। মহকুমার আদালতের পাশে মহকুমা সংশোধনাগার তৈরি হলে সেই সমস্যা দূর হবে। মানুষের ভোগান্তি কমবে ও বছরে সরকারের যে টাকা অপচয় হচ্ছে সেটা বেঁচে যাবে”। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রঞ্জন মিত্র জানিয়েছেন,”বামেদের সময়ে সংশোধনাগার তৈরি করার জন্য জায়গা দেখা হয়েছিল কলেজের পাশে। সংশোধনাগার তৈরি হলো বহু সমস্যা মিটে যেত,বিষয়টি যথাস্থানে জানানো হয়েছে”। হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী,গঙ্গারামপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন,আগে জমি দেখা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।সমস্যার বিষয়টি শুনলাম,চেষ্টা করা হবে সমাধানের”। গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা জানিয়েছেন,”বিষয়টি আপনার কাছে জানতে পারলাম, জানানো হবে যথাস্থানে।