ভোট বয়কটের আগুনেই খুলল উন্নয়নের দরজা! প্রতিশ্রুতি ভেঙে মুখ পুড়ল সুকান্তর, জয়জয়কার বিপ্লবের
নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ১০ ফেব্রুয়ারী —– কথা দিয়েও কথা রাখেননি তিনি। প্রতিশ্রুতি ছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। একের পর এক ভোট আসে, নেতারা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়ান, কিন্তু গ্রামের মাটিতে পড়ে থাকে শুধু হতাশার ছাপ। শেষমেশ ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল চকমাধব গ্রামে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বাসিন্দারা, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে। আজ ব্যালটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েই পেলেন নিজেদের অধিকার—পাকা রাস্তা!
সোমবার প্রশাসনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে কুতুবপুর পর্যন্ত ৬০০ মিটার রাস্তার শিলান্যাস করা হল। আর এতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এই গ্রামবাসীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—তিনি নির্বাচিত হলেই চকমাধবের মাটিতে পাকা রাস্তা হবে। কিন্তু সময় গড়ালেও সেই প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবে রূপ নেয় নি। রাস্তার দাবিতে একাধিকবার প্রশাসনের দুয়ারে কড়া নেড়েও ফল মেলেনি। অবশেষে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা গ্রাম। বালুরঘাটের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে একাধিকবার ভোট বয়কটের ডাকও দেন তাঁরা। যা নিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিষয়টি নজরে আনে রাজ্য সরকার। কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী থাকাকালীন বিপ্লব মিত্র প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন এই রাস্তার জন্য। এরপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার শুরু হল রাস্তার কাজ।
যে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার, অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন—”আমরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। মুখ্যমন্ত্রীর জনদরদি উদ্যোগেই চকমাধব গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে।”
পঞ্চায়েত প্রধান দেবদূত বর্মন বললেন, “এই রাস্তা শুধু ইট-বালি-সিমেন্টের গল্প নয়, এটা গ্রামের মানুষের সংগ্রামের জয়।”
চকমাধব গ্রামের এই রাস্তাকে ঘিরে গ্রামবাসীদের আবেগ এখন তুঙ্গে। বাসিন্দারা জানান, “ভোট বয়কট না করলে আমরা আজও এই রাস্তা পেতাম না! একের পর এক নেতা এসে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, কিন্তু কথা রাখেননি। শেষমেশ আমাদের লড়াই সফল
চকমাধব গ্রামের মানুষদের জয় শুধুমাত্র রাস্তার নয়, বরং প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী বার্তাও!