অক্ষত আত্রেয়ী ড্যাম!

0
42

অক্ষত আত্রেয়ী ড্যাম! আন্ডার মাইনিং এর কারনেই ভেঙেছে পাড়। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ খারিজ করে বালুরঘাটে দাবি সেচ দপ্তরের সেন্ট্রাল টিমের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, ১১ ফেব্রুয়ারী —— অক্ষত আত্রেয়ী রিভার ড্যাম, আন্ডার মাইনিং এর জেরেই পাড় ভেঙেছে আত্রেয়ীর। মঙ্গলবার বালুরঘাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চকভৃগু এলাকায় ভেঙে যাওয়া আত্রেয়ীর বাধ পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন সেচ দপ্তরের সেন্ট্রাল ডিজাইন টিম। এদিন বিকেলে সিডিওর ডেপুটি ডিরেক্টর পিনাকি চ্যাটার্জ্জীর নেতৃত্বে দুইজনের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল কলকাতা থেকে ছুটে এসে প্রথমেই ভেঙে যাওয়া বাধের অংশ পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখা হয় নবনির্মিত ড্যামের চারপাশ। যেখানে হাজির ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় কুমার সহ বেশকিছু আধিকারিকরা। তবে বাসিন্দাদের তোলা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এদিন সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আতঙ্কের কোন বিষয় নেই। ড্যামের কোন ক্ষতি হয়নি। আন্ডার মাইনিং এর জেরে পাড় ভেঙে ধসে গিয়েছে। মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে, আগামি এপ্রিল মাসের মধ্যে বাধ মেরামতির কাজ সম্পুর্ন শেষ করা হবে।

যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের একাংশের দাবি, বাঁধ তৈরির সময় থেকেই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। নদীর গতিপথ ও ভূগর্ভস্থ জলপ্রবাহের বিষয়টি বিবেচনা না করেই তড়িঘড়ি প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছিল। এবার তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।

তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সেন্ট্রাল ডিজাইন টিমের ডেপুটি ডিরেক্টর পিনাকি চ্যাটার্জ্জী। তিনি বলেন, ড্যাম সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছে। কোন কারনে ড্যামের পাশ দিয়ে জল পাস হয়েই এই বিপত্তি হয়েছে। যা হতেই পারে। বিষয়টি নিয়ে দপ্তরের অনান্য আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করে দ্রুততার সাথে সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে। এপ্রিল মাসের মধ্যে বাধের কাজ সম্পুর্ণ করা হবে।

সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় কুমার বলেন, আন্ডার মাইনিং এর জেরে পাড় ভেঙেছে। সেন্ট্রাল টিম ভিজিট করে যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেভাবেই কাজ চলবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রাবার ড্যাম নির্মাণের ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরেই চরম জলসংকটে ভুগছিলেন। সেই সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার আত্রেয়ী নদীর উপর একটি ড্যাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলেও দাবি করেন অনেকে।

কিন্তু মাত্র দু’বছরের মধ্যেই এমন বিপর্যয় ঘটায় প্রশ্ন উঠছে— সত্যিই কি এই বাঁধ কৃষকদের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান করবে? নাকি বারবার মেরামতি করেই চলতে হবে? সেচ দপ্তর আশ্বস্ত করছে, কিন্তু বাসিন্দাদের আশঙ্কা সহজে কাটছে না। এখন দেখার, মেরামতির পর বাঁধ কতটা স্থায়ী হয়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here