বাংলার মেয়ের বিশ্বজয়! অক্সফোর্ডে পৌঁছে ইতিহাস গড়লো বালুরঘাটের তৃষিতা

0
66

বাংলার মেয়ের বিশ্বজয়! অক্সফোর্ডে পৌঁছে ইতিহাস গড়লো বালুরঘাটের তৃষিতা

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৩ ফেব্রুয়ারী ——স্বপ্ন শুধু দেখা নয়, তা ছুঁয়ে দেখানোই আসল চ্যালেঞ্জ। আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাল বালুরঘাটের তৃষিতা দে! প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের জোরে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে জায়গা করে নিল ২২ বছরের এই মেধাবী তরুণী। সীমিত সুযোগ, হাজারো প্রতিযোগী—সব বাধা অতিক্রম করে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় সেরা দুইজনের একজন হয়ে সরাসরি অক্সফোর্ডের আমন্ত্রণ পেয়েছে সে!

শুধু নিজের নয়, এই সাফল্য আজ গোটা বাংলার। তার কৃতিত্বের খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে পুরো বালুরঘাট, শহরজুড়ে আনন্দের বন্যা!

চকভৃগুর এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া তৃষিতা ছোটবেলা থেকেই ছিল মেধাবী। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ২০২২ সালে স্যাট পরীক্ষায় অভূতপূর্ব ফলাফল করে স্কলারশিপ নিয়ে নিউইয়র্কের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কে পাড়ি জমায়। সেখানে ফিনান্স ও গণিত নিয়ে পড়াশোনা করার পর ভর্তি হয় সেন্ট থমাস অ্যাকুইনাস কলেজে।

সেখানেই ঘটে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় হাজারো ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে লড়াই করে সেরা দুই বিজয়ীর মধ্যে জায়গা করে নেয় তৃষিতা। এই জয়ই তার জন্য খুলে দেয় স্বপ্নের দুয়ার—অক্সফোর্ড থেকে সরাসরি উচ্চশিক্ষার আমন্ত্রণ! আগামী দুই বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স ও গণিত নিয়ে পড়বে এই বাংলার কন্যা।

এই ঐতিহাসিক সাফল্যে অশ্রুজল সহ চোখে মেয়েকে আশীর্বাদ করছেন বাবা-মা। বাবা সন্দীপ কুমার দে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,”আমার বাবা মুকুন্দ প্রসাদ দে চেয়েছিলেন আমাদের পরিবার থেকে কেউ বিশ্বদরবারে নিজেদের প্রমাণ করুক। আজ আমার মেয়ে সেটাই করে দেখাল! আমি গর্বিত, আমি অভিভূত!”

মা মধুমিতা দে বলেন, “ও খুব পরিশ্রমী। আমরা সবসময় ওকে উৎসাহ দিয়েছি। ওর সাফল্য আমাদের কাছে আশীর্বাদ।”

তৃষিতার এই কৃতিত্বে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে পুরো বালুরঘাটে। প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন বাড়িতে, শুভেচ্ছায় ভাসছে পরিবার। সবাই একবাক্যে বলছেন— এই মেয়েই একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here