বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজের পর্দাফাঁস!

0
77

বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজের পর্দাফাঁস! সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে ঘটনার সত্য উন্মোচন করলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক

বালুরঘাট, ১৬ ফেব্রুয়ারী —— বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেন সিনেমার দৃশ্য! মাথার ব্যান্ডেজ, হাতের স্যালাইন খুলে চাদর মুড়ি দিয়ে চুপিসারে উধাও এক রোগী! প্রথমে অভিযোগ উঠল মারধরের, উত্তাল হল হাসপাতাল চত্বর, কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ হতেই পুরো ঘটনার মোড় ঘুরে গেল!

তপনের বালাপুরের বাসিন্দা মামনি বর্মন শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে বাইকে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে ভর্তি হন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে। চিকিৎসা চলছিল ঠিকই, কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা—হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান মামনি!

হতবাক স্বামী বাসুদেব বর্মন স্ত্রীর খোঁজে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড তোলপাড় করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বিভ্রান্ত! কোথায় গেলেন রোগী? শহরজুড়ে শুরু হয় খোঁজ। কিছুক্ষণ পর জানা যায়, মামনি গিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে! কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—হাসপাতালের শয্যা ছেড়ে, মাথার ব্যান্ডেজ খুলে, চাদর মুড়ি দিয়ে তিনি পালালেন কেন?

রোগীকে খুঁজে পাওয়ার পরই পরিবারের অভিযোগ—সরকারি হাসপাতালের কর্মীরা তাকে মারধর করেছিল! সকাল থেকে যে অত্যাচার সইতে না পেরেই তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। স্ত্রীর মুখে এমন ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হন স্বামী বাসুদেবও। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন! রোববার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) সুদীপ দাস সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেন। যা দেখে হতবাক সবাই!

ফুটেজে দেখা যায়, মামনি বর্মন নিজেই মাথার ব্যান্ডেজ খুলে, চাদর মুড়ি দিয়ে চুপিসারে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন! কোনো মারধরের ঘটনা সেখানে নেই! সিএমওএইচ স্পষ্ট জানান, রোগীর পরিবারও পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—একজন গুরুতর অসুস্থ রোগী কেন এমন ঝুঁকি নিয়ে পালালেন? তিনি কি সত্যিই ভয় পেয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?

যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, মাথার আঘাত সংক্রান্ত যে কোন রোগীকে ২৪ ঘন্টার আগে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া যায় না। কিন্তু ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তার বাচ্চার কারণ দেখিয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি নিতে চাইছিলেন। যা না দেওয়াতেই এমন কান্ড ঘটিয়েছেন বলে তাদের অনুমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here