গঙ্গারামপুর অ্যাড বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হলো বুনিয়াদপুরের দুই যুবকের,করা ৫০হাজার টাকা জরিমানা,খুশি মৃতের পরিবার,সাজা ঘোষণায় কান্নায় ভেঙে পড়ল ২ যুবক
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৭ই ফেব্রুয়ারি এক ব্যক্তিকে খুন করার দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের এডিজে কোটের বিচারক।সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুম আদালতের অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট সেশন জর্জ মালেসা গুরুম দুই যুবককে ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের (৩০২)ধারায় খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নির্দেশ দেন।সেই সঙ্গে ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ছয় মাসের জেলের কথা দুই দোষীকে শোনান বিচারক। মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী হায়দার আলী জানিয়েছেন,”বিচারক ওই দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ৫০০০০ টাকা জরিমানাও করে। খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে টাকা দিতে না পারলে আরো ছয় মাসের জেলের কথা জানান দুই সাজাপ্রাপ্ত যুবকদের। এমন সাজা ঘোষণা হওয়ায় খুশি হয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বুনিয়াদপুরের বাসিন্দা দুই যুবক সুমন সরকার ও প্লাবন মুখার্জী বিচারক ওই দুজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা ও জরিমানা করার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত সূত্রের খবর,গত ইংরেজি ১১/১১/২০১৫ সালে বুনিয়াদপুর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত শীল ও কুতুবুদ্দিন আহমেদ রাত দশটার পরে দুজন দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিল বংশীহারী থানার পীরতলা এলাকায়। অভিযোগ,সেই সময় এলাকারই দুই যুবক সুমন সরকার ও প্লাবন মুখার্জি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কুতুবউদ্দিন আহাম্মেদ কাছে অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা দাবি করে। কুতুবউদ্দিন দুই যুবককে চাহিদা মত টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্ত দুজন সুমন ও প্লাবন ধারালো চাকু দিয়ে কুতুবউদ্দিনকে আঘাত করতে থাকে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সনজিৎ শীল দেখতে পেয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকেও বিভিন্ন জায়গায় ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকে ওই দুজন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সঞ্জিত শীল ও কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ দুজনেই গুরুতর আহত হয়। তার মধ্যে সনজিত শীলের অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে মালদা মেডিকেল হাসপাতালে রাতেই নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। গত ১২ /১১/ ২০১৫ তারিখে মৃত সঞ্জিত শীলের বাবা ক্ষুদিরাম শীল বংশীহারী থানায় সুমন ও প্লাবনের নামে পুরো বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ জানায়।ঘটনার রাজ সাক্ষী হিসেবে আহত কুতুবউদ্দিন পুরো বিষয়টি আদালতে জানায় সুমন ও প্লাবন মিলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বংশীহারী থানায় ১২/১১/২০১৫ তারিখে ১৫৫/করা ২০১৫ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খুনের চেষ্টা করা সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়।যার মহকুম আদালতের জি আর নম্বর ৮৪৭ /২০১৫। সেসান আদালতের মামলার নম্বর ১৯/২০১৬তে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।এডিং সেকশন ইন্ডিয়ান পিনাল কোটের ৩০২ ধারা দিয়ে বংশীহারী থানার পুলিশ চার্জশিট আদালতে জমা করে।সেখানে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজ কোর্টে ২১জন সাক্ষ্য গ্রহন করেন।গঙ্গারামপুর এট বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতের বিচারক মালেশা গুরুম সোমবার খুনের দায়ে সুমন সরকার ও প্লাবন মুখার্জিকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা ও জরিমানা করেন। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজ কোর্টের সরকারি আইনজীবী হায়দার আলী জানিয়েছেন,”খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে বিচারক যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেছে।আমি ফাঁসির দাবি করেছিলাম বিচারকের সামনে। এদিন খুনের দায়ে বিচারক সুমন সরকার ও প্লাবন মুখার্জিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করায় কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই যুবক। সুমন ও প্লাবনের আইনজীবী মনমোহন শর্মা জানিয়েছেন, রায়দানের কাগজ দেখেই বিষয়টি নিয়ে এগোনো হবে,”।