ভুয়ো ডায়গনাস্টিক বিল কান্ডে গ্রেপ্তার যুবককে হেফাজতে নিল পুলিশ। জাল কারবারেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল কুমারগঞ্জের ফয়জুল সরকার।
বালুরঘাট, ২০ ফেব্রুয়ারী —– চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুয়ো বিল কান্ডের কিনারা করতে এবারে গ্রেপ্তার যুবককে হেফাজতে নিল বালুরঘাট থানার পুলিশ । বুধবার শহরের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ফয়জুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক পাচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ফয়জুল প্রথমে এক পরিচিত ডায়গনাস্টিক সেন্টারের নাম করে রোগীদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করত। চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারতেন না, তাঁদের সঙ্গে কী চক্রান্ত চলছে। কিন্তু রিপোর্ট ও বিল দেওয়ার সময় তিনি ধরিয়ে দিতেন সম্পূর্ণ অন্য একটি ভুয়ো ডায়গনাস্টিক সেন্টারের প্যাড। তার কারসাজি এতটাই নিখুঁত ছিল যে কেউ সহজে সন্দেহ করেননি। সম্প্রতি রেশমিয়ারা খাতুন ও মিন্নাতুন চৌধুরী— রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর প্রতারণা করা হয়েছে! বিল হাতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ডায়গনাস্টিক সেন্টারে পৌঁছতেই তাঁরা জানতে পারেন, ওই নামে কোনো রিপোর্টই তৈরি হয়নি। এরপরেই ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা।
এমনি একটি ঘটনা জানিয়ে রঘুনাথপুরের বাসিন্দা মনোজ কুমার পান্ডা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে বালুরঘাট থানার পুলিশ। তদন্ত যত এগোতে থাকে, ততই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! দীর্ঘদিন ধরেই রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল ফয়জুল। এই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বহু মানুষ, যাঁরা হয়তো আজও জানেন না, তাঁদের রিপোর্ট আদৌ আসল ছিল কি না! এই কারবার করেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল অভিযুক্ত ।
তবে শুধু ফয়জুল নন, এর পিছনে আরও কেউ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এদিন আদালতে ধৃতকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। যদিও বিচারক পাচদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন সরকারী আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার।