প্রস্রাব বিতর্কে রণক্ষেত্র! বালুরঘাটে আরএসপি-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধে রক্তাক্ত দু’পক্ষ, ভাঙচুর-তাণ্ডবে তুমুল উত্তেজনা

0
22

প্রস্রাব বিতর্কে রণক্ষেত্র! বালুরঘাটে আরএসপি-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধে রক্তাক্ত দু’পক্ষ, ভাঙচুর-তাণ্ডবে তুমুল উত্তেজনা

বালুরঘাট, ২৫ ফেব্রুয়ারী —— প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে প্রস্রাব! তুচ্ছ কারণ, কিন্তু তার জেরে কার্যত বিস্ফোরণ! মারধর, রক্তাক্ত সংঘর্ষ, লোহার রডের আঘাতে আহত দু’জন, ভাঙচুর চলল বাড়িঘরে—উত্তাল হল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাদামাইল এলাকা। অভিযোগের তির বিজেপি নেতার দিকে, আবার পাল্টা অভিযোগও ছুড়েছেন তিনি। রণক্ষেত্রের আবহে মোতায়েন পুলিশ, তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাদামাইল এলাকার বাসিন্দা ও আরএসপি কর্মী কানাই দেবনাথের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী বিজেপি নেতা রঞ্জিত ভৌমিক ও তাঁর ছেলে সুরজিত ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের বাড়ির সামনে প্রস্রাব করেন। বারবার নিষেধ করেও কোনও লাভ হয়নি। সোমবার রাতে ফের একই ঘটনা ঘটতে দেখে প্রতিবাদ করেন কানাই দেবনাথ ও তাঁর পরিবার। অভিযোগ, তাতেই রঞ্জিত ভৌমিক ও তাঁর অনুগামীরা মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শুরু হয় তর্কাতর্কি, মুহূর্তের মধ্যে তা পরিণত হয় রক্তাক্ত সংঘর্ষে!

অভিযোগ, রঞ্জিত ভৌমিকের নেতৃত্বে একদল লোক কানাই দেবনাথের বাড়িতে চড়াও হয়। লাঠি-লোহার রড নিয়ে ভাঙচুর শুরু হয়। টানা মারধরের জেরে গুরুতর আহত হন কানাই দেবনাথ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তছনছ করে দেওয়া হয় বাড়ির আসবাবপত্র, বাইক পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়!

তবে বিজেপি নেতা রঞ্জিত ভৌমিকের ছেলে সুরজিত ভৌমিক এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা জানিই না, কে ওদের বাড়ির সামনে প্রস্রাব করে! কিন্তু কানাই দেবনাথ ও তাঁর পরিবার প্রতিদিন আমাদের গালিগালাজ করেন। সোমবার রাতে রঞ্জিত দেবনাথ লোহার রড হাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। বাধা দিতে গিয়ে আমি নিজেই গুরুতর আহত হয়েছি!’’ ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে এই ঘটনায় আহত কানাই দেবনাথের স্ত্রী রনিতা দেবনাথ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এটা পরিকল্পিত হামলা! ঘরবাড়ি, মোটর বাইক সব ভেঙে দিয়েছে। আমাদের প্রাণে মারতে এসেছিল ওরা!’’

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

স্থানীয়দের একাংশের মতে, ‘‘এটা শুধুই প্রতিবেশীদের ব্যক্তিগত বিবাদ নয়, রাজনৈতিক রেষারেষির জেরও থাকতে পারে!’’ এখন দেখার, পুলিশের তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here