প্রতারণার নতুন ছক বালুরঘাটে!

0
53

প্রতারণার নতুন ছক বালুরঘাটে! সেনার পোশাকে ভিডিও কলে ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি দিয়ে ব্যবসায়ীর একাউন্ট থেকে গায়েব ৫৭ হাজার

বালুরঘাট, ২৭ ফেব্রুয়ারী ——- অনলাইন প্রতারকদের ঘাটি কি এবার বালুরঘাট! সেনাকর্মীর পরিচয় দিয়ে পুলিশ লাইন লোকেশন দিয়ে ব্লাউজ ব্যবসায়ীর সাথে আর্থিক প্রতারণা। দুদফায় প্রায় ৫৭ হাজার টাকা খুইয়ে মাথায় হাত পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। সেনাকর্মীর পোশাক পরে ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনি দিয়ে ভিডিও কলে ব্লাউজ ব্যবসায়ীর মন জুগিয়েছিল ওই প্রতারক। বুধবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের ডানলপ মোড় এলাকায়। যাকে ঘিরেই এখন আতঙ্কিত শহরের ব্যবসায়ী মহল। এদিকে এই ঘটনার পরেই সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, বালুরঘাটের সংকেত ক্লাব পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুমন সাহার একটি ব্লাউজের দোকান রয়েছে শহরের ডানলপ মোড় এলাকায়। যেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীর কাছে আচমকাই একটি ফোন আসে। প্রথমে অডিও কল করা হলেও ব্যবসায়ীর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে ভিডিও কল করেন ওই প্রতারক। সেনা কর্মীর পোশাক পড়ে থাকা ওই ব্যক্তি প্রথমে ব্যবসায়ী সুমন সাহাকে ‘জয় হিন্দ’ বলে সম্বোধন করেন। যার হিন্দি কথায় ওই ব্যবসায়ীর বিন্দুমাত্র সন্দেহ হওয়া তো দূরের কথা উল্টে দেশের সেনা হিসাবে তার প্রতি ভরসা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যেন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। এরপরেই ওই প্রতারক প্রথমে ব্লাউজ ব্যবসায়ীকে ৫০ টি ব্লাউজ তৈরির অর্ডার দেন। সেনাকর্মীদের নিজস্ব অনুষ্ঠানে লাগবে এমনটাও জানানো হয়। আর এরপরেই ওই ভুয়ো সেনাকর্মী শুরু করে নিজের প্রতারণার জাল বিস্তার করার কাজ। একাউন্ট থেকে টাকা দেবার নাম করে ওই ব্যবসায়ীর একাউন্ট নম্বর নেন তিনি। কিন্তু সেখানে টাকা না থাকায় অন্য একটি একাউন্ট দাবি করেন। যা দিতেই দুফায় মোট ৫৭ হাজার তুলে নেওয়া হয়। আর এরপরেই মাথায় হাত পড়ে ওই ব্লাউজ ব্যবসায়ীর। ঘটনা জানিয়ে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তবে কি শহরে ঘাটি গেড়েই এবারে ছক কষছেন প্রতারকরা ? এদিনের এই ঘটনা নিয়ে উঠেছে এমনই বেশকিছু প্রশ্ন উস্কে উঠেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যাকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বালুরঘাট শহরে।

সুমন সাহা বলেন, সেনাকর্মীর পরিচয় দিয়ে ভিডিও কল করে তাকে ৫০ টি ব্লাউজের অর্ডার দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। তার একাউন্টে টাকা ঢুকছে না বলে অন্য একাউন্ট দাবি করে। এরপর প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীর একাউন্ট দিতেই ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। টাকা কাটবার পরেই বুঝতে পেরেছেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

রাতেই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুমনবাবু। তদন্ত শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের সাইবার শাখা। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, সেনাকর্মীর ছদ্মবেশে প্রতারণার নয়া ছক কি আরও কাউকে টার্গেট করবে? তদন্তে কি উঠে আসবে প্রতারকের আসল পরিচয় ? শহরজুড়ে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here