অবৈধ সম্পর্কের জের, মহিলাকে মারধর গঙ্গারামপুরে,শোরগোল শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর।যুবক মোটরসাইকেলের গাড়ির চালক,তার পিছনে কমলা রংয়ের জামা,লাল রঙের ওড়না, নীল রংয়ের প্যান্ট পরা এক মহিলা মোটর সাইকেলের পিছনে বসে গায়ে হাত দিয়ে যাচ্ছেন।পিছন থেকে দুই মহিলা সহ এক যুবকের কণ্ঠস্বর,অনেকদিন পর পেয়েছি”ধর,ধর।”যেমন বলা তেমনি শুরু মোটর সাইকেলে পিছনে বসে থাকা মহিলাকে নাকমুখে উত্তম মাধ্যম ঘুশি,ছিঁড়ে দেওয়া হল মহিলাদের জামা ,প্যান্টও সহ ওড়না।ততক্ষণে অবস্থা বেগতিক বুঝে মোটরসাইকেল নিয়ে কোন মত চম্পট দিল সেই যুবক।কি হল মার্কেটের মধ্যে, ঘটনার পিছনে কি কারনি বা রয়েছে সে বিষয়টি জানতে উৎসুক জনতার ভিড় জমলো শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর হাইরোডে।রাতের হাইরোডেও ভিড় হল বিরাট আকারে।এক মহিলার সামনে আরেক গৃহবধূ হাতজোড় করে বলতে শোনা গেল,”আপনি আমার স্বামীকে ছেড়ে দিন,আমাকে বাঁচান।”অবশেষে এই নাটকের অবসান ঘটালেন গঙ্গারামপুর থানার টাউন অফিসার বিশ্বজিৎ বর্মন মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এসে আটক করে নিয়ে যাওয়া হল দুই মহিলাকে। পুলিশের সূত্রে খবর,আট বছর আগে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেরিনা মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয় রমেন মার্ডি নামে এক যুবকের।রমেন মার্ডি গঙ্গারামপুর শহরের একটি নার্সিংহোমে ওষুধের দোকানে কাজ করেন।রমেন মার্ডির স্ত্রী মেরিনা মুর্মুর দাবি,ওই মহিলার কাছে গিয়ে তিনি সংসার বাঁচাতে নিজেও কাকুতি মিনতি করেছেন। কিন্তু তার স্বামীকে কোনমতে ছাড়তে রাজি নয় ওই মহিলা।অনেকদিন পর তারা দুজনকে খুজে পেতে ওত পেতে ছিলেন।স্বামীর দেখা পাওয়া গেলেও ওই মহিলার কোন মতোই ধরা দিচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে। রমেন মার্ডির বিবাহিত স্ত্রী মেরিনা মূর্মুর অভিযোগ,” বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার স্বামী অন্য এক মহিলার সঙ্গে ফোনে পরিচয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।স্বামী ওই মহিলাকে নিয়ে কোথায় থাকেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বহুদিন ধরেই।শনিবার রাতে খোঁজ পেতেই ওই মহিলাকে এমন উত্তম মাধ্যম দেওয়া হয়েছে।আমি চাই আমার স্বামীকে ওই মহিলা ছেড়ে দেক।” জানা গেছে, কিরণ লাকড়া নামে ওই মহিলার বাড়ি তামিলনাড়ু রাজের সিমডাঙ্গাতে।তার স্বামী পেশায় একজন পুলিশ কর্মী।পরিবার স্বামী ছেড়ে বর্তমানে গোপনে মেরিনা মুর্মুর স্বামী রমেন মুর্মু সঙ্গে থাকেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। মেরিনা মুর্মুর মাসি কুশুমন্ডির থানা এলাকার বাসিন্দা সাবেদা মূর্মু অভিযোগ করে বলেন,”ওই মহিলা আমার আত্মীয়র ঘর ভেঙেছে, বহুদিন খুজে তাকে পাওয়াই যাচ্ছিল না।খবর পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে উত্তম মাধ্যম দেওয়া হয়েছে।কারো সংসার কেউ অবৈধ সম্পর্কের কারণে এভাবে ভাঙতেই পারে না। আইনের দ্বারস্থ হব।” গঙ্গারামপুর হাইরোড এলাকার এমন ঘটনা দেখে দাঁড়িয়ে থাকা প্রলয় বিশ্বাস,মিন্টু দাস,লক্ষণ বাবুরা জানিয়েছেন,ঘটনার কান্ড দেখে আমরা সকলেই অবাক ,কি হচ্ছে এটা।পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।পরে জানতে পারলাম এটা সম্পর্কের ঘটনা নিয়ে গোলমাল।” খবর পেতেই গঙ্গারামপুর থানার আইসি নির্দেশে থানার টাউন বাবু বিশ্বজিৎ বর্মন ঘটনাস্থলে এসে দুই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। “যদিও যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,”অভিযুক্ত যুবকও।” গঙ্গারামপুর থানায় আইসি শান্তনু মিত্র জানিয়েছেন,”পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”