বেঁচে থাকতেও নাম নেই ভোটার তালিকায় !

0
18

দলীয় নেত্রীর নির্দেশ ও রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের কথামতো পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস ভোটার তালিকা বিষয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতেই তার চক্ষু চরকগাছ,খোঁজ পেলেন বেচে থাকার পরেও ভোটার তালিকার নাম নেই এক মহিলার, খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৪মার্চ। তিনি দিব্যি বেঁচে আছেন,চলাচল করতে পারেন,রাজ্য সরকারের বয়স্ক ভাতাও পান।কিন্তু ভোটার তালিকায় নাম নেই তার।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের কথামত ভোটার তালিকার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়িতে যান।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের অলিগলির প্রতিটি বাড়িতে এদিন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দলীয় একাধিক নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোটার কার্ডের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।সেখানেই পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনারে চক্ষু তরকগাছ। ওয়ার্ডের শিববাড়ি এলাকায় বয়স্ক এক মহিলা দিব্যি বেঁচে রয়েছেন,কিন্তু ভোটার তালিকায় তার নাম নেই।সঙ্গে সঙ্গে তিনি খাতায় নোট ডাউনও করে নেন।ওই মহিলা জানালেন,কি জানি বাপু শুনছি ,ভোটার তালিকায় নাম নেই।সরকারের ভাতাও পাই,এখন শুনছি ভোটার লিস্টে আমার নাম আর নেই,আমিতো বেঁচেই রয়েছি।তারা এক আত্মীয়র কথায়,নেতারা বাড়িতে এসে বিষয়টি সামনে এনেছেন।ঠাকুমার নাম আবার ভোটার তালিকায় উঠুক সেটাই চান তিনি।গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক বলেন,বিষয়টি শুনলাম খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার কাদের প্রচুর গরমিল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বদের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ভোটার কার্ডের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ জারি করেন।যে কমিটিতে স্থান পেয়েছে হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মধ্যে বিপ্লব মিত্র।তার নির্দেশ মতোই এদিন সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস ১৫নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটার তালিকার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যান। বাড়িতে ভোটার কার্ডের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই তিনি দেখতে পান শোভা কুণ্ড নামে এক বয়স্ক বিধবা মহিলা তিনি বেঁচে থাকলেও তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ চলে গিয়েছে। যা দেখে ভাই চেয়ারম্যান দাদা মিডিয়া কনভেনরের চক্ষু চরকগাছ হয়ে দাঁড়ায়। বিধবা শোভা কুন্ডু অভিযোগ করে বলেন,”কি জানে বাপু এসব শোভা কুন্ডু জানান”,বহুদিন ধরেই ভোট দিয়ে আসছি।এখন শুনতে পেলাম নাম নেই তালিকায়।আমি ভাতাও পাই, দিব্যি বেঁচে রয়েছি।” শোভা কুন্ডর এক আত্মীয় রিয়া কুন্ডু অভিযোগ করে বলেন,”আমরা চাই আমার ঠাকুমার ভোটার লিস্টের তালিকায় আবার নাম উঠুক সরকারি পরিষেবা পাক।” জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস অভিযোগ করে বলেন,”দলনেত্রী যে অভিযোগ করেছে তা আমরা বাড়ি বাড়িতে এসেই প্রমাণ পাচ্ছি তা সঠিক। বেঁচে থাকলেও ভোটার লিস্টে নাম নেই,গুজরাটের ভোটারের নাম উঠেছে আমাদের বিধানসভায়।বিষয়টি যথাস্থানে জানানো হবে।” ১৫নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দে,মানুষের সমস্যার পাশে তৃণমূল সরকারই রয়েছে।তাই ওয়ার্ডে প্রতিটি বাড়িতে ঘোরা হচ্ছে।ভোটার তালিকার সমস্যা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়া হচ্ছে।” এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা গৌড় সাহা অভিযোগ করে বলেন,”ভোটার কার্ড নিয়ে মানুষের ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমরা চাই সমস্যা দূর হোক।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা জানিয়েছে,”বিষয়টি শুনেছি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।” এদিন জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here