টানা ৬/৭ ধরে তপনের শ্যামনগরে ট্রান্সফরমার বিকল,জল সংকট ও প্রচন্ড গরমে পথ অবরোধে গ্রামবাসীরা,থানা ও বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে উঠলো অবরোধ শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১২ই মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর। টানা সাত দিন ধরে এলাকায় বিকল ট্রান্সফরমাটি।বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরম ও জল সংকটের পাশাপাশি নাজেহাল অবস্থা এলাকার বাসিন্দাদের বলে অভিযোগ উঠছে।ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগরে অবরোধ করলো ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।এমন অবরোধের ফলে গঙ্গারামপুর ভায়া তপন সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।তপন থানার পুলিশ ও ব্লক বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে দীর্ঘ সময় পর অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। তপন ব্লকটি মূলত জল সংকট ব্লক বলেই পরিচিত।তার মধ্য গরম পড়তেই সব থেকে জলের সংকট বেশি দেখা যায় তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকাটি জল সংকট শুরু হয়েছে।এলাকাবাসীদের অভিযোগ,৬/৭দিন ধরে শ্যামনগর এলাকায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমাটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।শ্যামনগর এলাকার বেশিরভাগ মানুষজনই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত।শ্যামনগরের ট্রান্সফরমাটি থেকেই , শ্যামনগর মোড়,করণজারা এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবারের ৫০০জনের মত গ্রামবাসী বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে। ৬/৭ দিনের বিদ্যুৎ না থাকার বড় সমস্যায় পড়েছে এলাকাবাসীরা বলে অভিযোগ।বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট যেমন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।তার মধ্যে ভাফসা গরমে নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছে বাসিন্দারা। বাধ্য সমস্যা সমাধান না হওয়ায় কঠোর অবরোধে নেমেছেন তারা। শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জনা বর্মন, হাসান মন্ডল, ঝরনা প্রামাণিকের অভিযোগ করে বলেন,৬/৭ দিন ধরে এলাকার ট্রান্সফরমাটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। গরম ও জল সংকটে ভুগছি আমরা।অফিসে কয়েকদিন ঘোরাঘুরির পরেও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় অবরোধ করতে বাধ্য হলাম। বিদ্যুৎ চাই নাহলে অবরোধ তুলবো না আমরা।” ঘটনার খবর পাওয়ার পরে সেখানে ছুটি আসেন তপন থানার পুলিশ ও তপন ব্লক বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকেরা।দীর্ঘ সময় অবরোধ চলার পর থানা ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের কাছ থেকে গ্রামবাসীরা সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস পেলে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। তপন থানার আইসি ও তপন ব্লক বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিক জানান,”সমস্যা হয়েছে ,যার জন্য গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেছিল।দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।” এখন দেখার এটাই যে,আর কত সময়ের মধ্যে বাসিন্দাদের জ্বলন্ত সমস্যা সমাধান হয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।