বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার গ্রামে রক্ষা কালীমাতার পুজোকে নিয়ে রয়েছে বহু পুরনো ইতিহাসও-বসল মেলাও

0
391

শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর ,২১নভেম্বর ,দক্ষিণ দিনাজপুর- ১০৫ বছরের বহু পুরনো রক্ষা কালীমাতার পুজো উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে বাউলগান, যাত্রাপালা সহ বিরাট মেলার আয়োজন করা হয় উদ্যাগতাদের তরফে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার হাটখোলা গ্রামে রক্ষা কালীমাতার পুজোকে নিয়ে রয়েছে বহু পুরনো ইতিহাসও।মায়েরস্থানে এসে ভক্তদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেও প্রতিবছর দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি মালদা জেলা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন মিলিত হয় সেখানে।যাকে ঘিরেই সকলের উৎসাহ উদ্দিপনা থাকে ব্যপকভাবে।   

 বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার হাটখোলা গ্রামে রক্ষা কালীমাতার পুজোর সুচনা হয়েছে১৯১৬সালে।যা এবছর এই পুজো ১০৫ বছরে পা দিয়েছে বলে পুজো কমিটির উদ্যাগতারা জানিয়েছেন। এলাকারি এক জৈনক ব্যাক্তি আজ থেকে ১০৫বছর আগে মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে রক্ষাকালীমাতার মায়ের পুজো সুচনা করেন।তাঁর পর থেকেই বাগদুয়ার এলাকার বিশিষ্টজনেদের মাধ্যমেই পুজো ও মেলার আয়োজন করা হয়।    115 পুজো ও মেলা কমিটির উদ্যাগতারা জানিয়েছেন, যে সমস্ত নিয়মে বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা এলাকার রক্ষাকালীমাতার পুজোর নিয়ম পালন করতে হয়ে থাকে,ঠিক সেই সমস্ত নিয়ম মেনেই এখানেও পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে রক্ষাকালীমাতার পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।সেদিনই ২০/২৫গ্রামের মানুষজন মেতে ওঠে বাগদুয়ার গ্রামের রক্ষা কালীমাতার পুজো ও মেলাতে মেতে ওঠে। দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি মালদা জেলা সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও ভক্তরা সেখানে ছুটে আসে সেখানে।পুজোর পরের দিন থেকেই বাউল গান,যাত্রাপালা, আদিবাসী যাত্রাপালা, সহ বিরাট মেলাতে দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি মালদা সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মনোহরির দোকানও বসে।   বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার গ্রামের রক্ষা কালীমাতা পুজো কমিটির সম্পাদক মহন্ত জানিয়েছেন, ১০৫বছরের চন্দন পা দিয়েছে। পুজোকে ঘিরেই বসে মেলা, যাত্রাপালা থেকে বিভিন্ন ধরনের মনোহরির দোকানও।সব মিলিয়ে ভক্তদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই সকলেই এখানে ছুটে আসে।  মন্দিরের সেবায়েত জানিয়েছেন, বহু পুরনো এই পুজো কবে শুরু হয়েছিল সেটা আমরা বলতে না পারলেও এই পুজোতে সমস্ত নিয়ম পালন করেই করা হয়ে থাকে।বহু ভক্তরা ছুটে আসে মায়ের টানে মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই।   

 পুজো ও মেলাতে আসা এক দর্শনার্থী পরিতোষ রায় জানিয়েছেন,এখানে পুজোর দিন ও মেলাতে এখানে মায়েরটানে ছুটে আছি প্রতিবছর।মনের বাসনা পূর্ণ হয়।তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাউল,যাত্রাগান বেশ ভালো লাগে।   

  সব মিলিয়ে এখানকার রক্ষাকালীমাতার পুজো ও মেলাকে ঘিরে সকলের উৎসাহ ও উদ্দিপনা ছিল চোখে পরার মত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here