এক লেবারকে কালিয়াচকে নিয়ে গিয়ে মুক্তি পন চাইলেন দূস্কৃতীরা

0
207

লেবারের কাজ করার নাম করে পিকআপ ভ্যানে চাপিয়ে অপহরন চারজনকে। তিন লেবার চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নেমে বাঁচলেও একজন লেবারকে কালিয়াচকে নিয়ে গিয়ে মুক্তি পন চাইলেন দূস্কৃতীরা। এমনই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়গঞ্জ থানার ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা এলাকায়। অপহৃত লেবারের পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিস্ক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জ থানার ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা এলাকায় ভ্যান নিয়ে কাজের অপেক্ষায় বসেছিলেন রতন সরকার, কাঙ্গাল হালদার, স্বপন দে ও রাজেন মন্ডল নামে চারজন ভ্যানচালক । সেই সময় একটি পিকআপ ভ্যান গাড়ির চালক এসে তাদেরকে রূপাহারে আমের গাড়ি আনলোড করার কথা বলে। দরদাম করে সেইমতো ওই চারজন লেবার ভ্যানচালক পিকআপ ভ্যানটিতে উঠে বসেন। কিন্তু রূপাহার পার হয়ে যাওয়ার পরেও পিকআপ ভ্যানটি না দাঁড়িয়ে উলটে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। তখনই তাদের মনে সন্দেহ জাগে। তারপরে গাড়িটি নন্দনগ্রামে পৌছলে স্বপন দে নামে একজন ভ্যানচালক গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিচে ঝাঁপিয়ে পরেন। এরপর রতন সরকার ও কাঙ্গাল হালদার পতিরাজপুরে এলাকায় সুযোগ বুঝে পিকআপ ভ্যান থেকে লাফিয়ে নিচে নামেন। কিন্তু রাজেন মন্ডল গাড়ির থেকে লাফ দিতে না পারায় তাকে নিয়ে চলে যায় গাড়িটি। এরপর শনিবার সকালে রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডলকে এই 7699404767 নম্বর থেকে ফোন করে রাজেন মন্ডলের মুক্তি পনের জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করে দুস্কৃতীরা । টাকাটা কালিয়াচকে নিয়ে আসতে বলা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তার বাবা রাজেন মন্ডলকে ছাড়বে না বলে হুমকি দেয় অপহরনকারীরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডল রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপহৃত রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডল জানিয়েছেন, ফোন করে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছে অপহরনকারীরা। বাবা সামান্য ভ্যানচালক আর তিনি ফলের ব্যবসা করেন। এত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে জানিয়েও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভ্যানচালক রতন সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা ভ্যানচালক, গাড়ি লোড ও আনলোড করে থাকেন। আমের গাড়ি আনলোড করতে হবে বলে তাঁরা রূপাহারের উদ্দেশ্যে ওই পিকআপ ভ্যানে চেপেছিলেন। অপহরন করার উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনজন গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে প্রানে বেঁচেছেন। কিন্তু রাজেন মন্ডলকে অপহরণকারীরা আটকে রেখেছে। লিখিত অভিযোগ জানানো সত্বেও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ কোনও উদ্যোগই গ্রহন করেনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুদ্ধ অপহৃত ভ্যানচালকের পরিবার সহ অন্যান্য ভ্যানচালকেরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here