তিনদিন পর বাড়ি ফিরলেন দুর্গত ২৫০ পরিবার। যদিও জল-কাদায় বাড়িঘর, এলাকার অবস্থা তথৈবচ।

0
466

জলপাইগুড়িঃ- তিনদিন পর বাড়ি ফিরলেন দুর্গত ২৫০ পরিবার। যদিও জল-কাদায় বাড়িঘর, এলাকার অবস্থা তথৈবচ। 

টানা বৃষ্টির জেরে রবিবার রাত থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল জলপাইগুড়ি পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ড। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় ২৫নং ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনী, নীচমাঠ, নেতাজীপাড়ার বাসিন্দাদের। বুধবার শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলির জল নেমে গেলেও, ২৫নং ওয়ার্ডের এই তিনটি এলাকা জলমগ্নই ছিল। কারণ এলাকাগুলি নীচু জায়গায় করলা নদীর ধার ঘেষে অবস্থিত।পাশাপাশি, করলা নদীর বাধের কিছু অংশ অসম্পূর্ণ এবং নীচু হওয়ায় নদীর জল ঢুকে জল জমে ছিল। বুধবার বিকেল থেকে বৃস্টিপাত কমে যায়। জলপাইগুড়িতে গত ২৪ ঘন্টায় বৃস্টিপাতের পারিমাণ ৪৯মিলিমিটার।

ফলে বুধবার রাত থেকেই জল কমতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন ফ্লাড শেল্টারে বা রাস্তার তাবুতে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা। যদিও জলের তোড়ে বাড়িঘর থেকে আসাবাবপত্রের অবস্থা খবুই করুণ। অনেকের বাড়ি বা আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। রাস্তাঘাট এখনো জমা জলে কাঁদা প্যাচপেচে। 

জামাকাপড় ভেজা। সকাল থেকে সেইসব ঠিকঠাক করার কাজেই ব্যস্ত ছিলেন সবাই। এদিকে রান্নাবান্নার ব্যবস্থাও নেই এই অবস্থায়। দুপুরের দিকে এলাকার কাউন্সিলার এবং যুব তৃনমুল কর্মীরা এলাকায় গিয়ে চিড়েগুড় বিলি করেন। পাশাপাশি বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নেন কাউন্সিলর পৌষালী দাস সরকার। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের জন্য পৌরসভায় আবেদন জানাবেন।পাশাপাশি, উদ্যোগ নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে বাধ সংস্কারে উদ্যোগী হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here