চলন্ত ফ্যান খুলে পড়ে রক্তাক্ত খুদে পড়ুয়া, ক্লাস চলাকালীন সময়েই ঘটলো দুর্ঘটনা। তপনের পাতকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৫ জুলাই ——–– ক্লাস চলাকালীন সময়ে ফ্যান খুলে পড়ে রক্তাক্ত হলেন প্রথম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তপন ব্লকের পাতকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বাসন্তী বর্মন নামে বছর পাঁচেকের ওই খুদে পড়ুয়া। একইদিনে ওই স্কুলের ছাদ থেকে অপর একটি ফ্যান ফের খুলে পড়ায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর শারিরীক অবস্থার খোজ নিতে ছুটে গিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সন্তোষ হাসদাও। কথা বলেছেন হাসপাতাল সুপারের সাথেও।
তপন ব্লকের চামটাকুড়ি এলাকায় অবস্থিত পাতকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। যেখানে ১০৬ জন খুদে পড়ুয়ার দায়ীত্বে রয়েছেন প্রায় চারজন শিক্ষক শিক্ষিকা। শারিরীক অসুস্থতার কারনে বেশকিছুদিন ধরে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসতে না পারায় তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকাকেই সামলাতে হচ্ছে স্কুলটি। এদিন স্কুল শুরু হতেই আচমকা একটি ফ্যান ছাদ থেকে খুলে এক স্কুল ছাত্রীর মাথায় গিয়ে পড়ে। যে সময় ক্লাসে বসেই লিখছিল ছোট্ট বাসন্তী। ঘটনার জেরে ওই খুদে পড়ুয়ার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয় শ্রেনীকক্ষ, দুমড়ে মুচড়ে যায় ফ্যানটিও। ছুটে আসেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। তড়িঘড়ি তাকে প্রথমে বালাপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই খুদে পড়ুয়া। অন্যদিকে এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কুলের অপর একটি শ্রেণিকক্ষে একইভাবে ছাদ থেকে খুলে পরে চলন্ত ফ্যান। যদিও সেখানে কেউ হতাহত হয়নি। তবে একই দিনে স্কুলের ছাদ থেকে দুইটি চলন্ত ফ্যান এইইভাবে খুলে পড়ায় যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে স্কুল চত্বরে। যা নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। ছাদ পেটানো শ্রেণিকক্ষে কিভাবে খুলে পড়ছে ওই চলন্ত ফ্যান তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের মধ্যেও। ঘটনা নিয়ে অনেকে ভৌতিক ব্যাপার কে সামনে আনলেও, স্কুল বিল্ডিংটি বহু পুরনো হবার কারণেই এমনটা ঘটছে বলে মনে করছেন একাংশ শিক্ষকরা।
শিশুর মা দীপিকা বর্মন ও তার এক আত্মীয় নন্দরানী বর্মনরা বলেন, পড়াশোনা করবার সময় আচমকা ওই চলন্ত ফ্যান খুলে পড়েছে। একইদিনে ওই স্কুলে দুইটি চলন্ত ফ্যান খুলে পড়েছে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। কেননা একই ঘটনা এরপর অন্য শিশুদের সাথেও ঘটতে পারে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সন্তোষ হাসদা জানিয়েছেন, চলন্ত ফ্যান খুলে পড়ে এক স্কুলছাত্রী জখম হয়েছে। যে ঘটনার খবর শুনতে পেয়েই ছুটে এসেছেন তিনি হাসপাতালে। একই দিনে আরও একটি ফ্যান খুলে পড়েছে স্কুলে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না হয় সে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।