গাজোল ,সব্যসাচী মন্ডল- জেলা প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে প্রশাসনের পাশে এগিয়ে এলো গ্রামবাসীরা।করোনা সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। সারাদেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলাতে চিত্রটা প্রায় একই। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি কে বিভিন্ন জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। যেখানে যেমন সংক্রমনের হার সেই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জেলা গুলিকে। এতদিন পর্যন্ত মালদা জেলা গ্রীন জোনে থাকলেও বর্তমানে মালদা জেলা কে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অরেঞ্জ জোনে (যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী রেড জোনের) রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও এলাকায় ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের এই অবাধ প্রবেশ রুখতে বিভিন্ন সীমান্ত সিল করে দিয়েছে পুলিশ। মালদা উত্তর দিনাজপুর সীমান্তে সিল করে যেমন নাকা চেকিং চালাচ্ছে উত্তরদিনাজপুর ও মালদা থানার পুলিশ ঠিক তেমনি দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার সীমান্তে সীমান্ত সিল করে দিয়ে নাকা চেকিং চালাচ্ছে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ। যার ফলে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তারা চেষ্টা চালাচ্ছে এলাকায় ফেরার। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হলেও মালদা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর উত্তর দিনাজপুর প্রবেশ করছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। যার ফলে গ্রীন জনে থাকা উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য কিছুটা ভয় থেকেই যাচ্ছে।
গাজোল ব্লকের আলাল অঞ্চলের আহোরা এলাকায় একটি রাস্তা ৩৪ নং জাতীয় সড়ক থেকে নেমে কালিনগর, রাজনগর , দেবীদহ হয়ে প্রবেশ করছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এবং দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে অনায়াসেই চলে যাওয়া যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরে।রাতের অন্ধকারে পরিযায়ী শ্রমিকরা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই রাস্তাটি কে বেছে নিয়েছে দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে। আহরা এলাকার এই রাস্তা ধরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। গ্রামে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় 50 হাজারেরও বেশি। মালদা জেলার এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কিত হয়ে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়া হলো মালদা উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুরের সংযুক্ত রাস্তাটি। বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতেই এবং প্রশাসনের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানালেন গ্রামবাসীরা।