পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দোকানের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি, অঘোষিত বনধ ব্যবসায়ীদের। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ বাসিন্দাদের, চলল পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও। দিনভর উত্তেজনা কুমারগঞ্জের মোল্লাদিঘীতে

0
669

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট,  ৮ জুলাই ———— পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই দোকানের তালা ভেঙ্গে দুঃসাহসিক চুরি। ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড দক্ষিণ দিনাজপুরের  সীমান্ত লাগোয়া কুমারগঞ্জের মোল্লাদিঘি এলাকায়। প্রতিবাদে  রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। চলে ব্যবসা বন্ধ রেখে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে  ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভও। শুক্রবার দিনভর এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মোল্লাদিঘী এলাকায়। পরে বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ পথ অবরোধ তুলতে সক্ষম হলেও ব্যবসায়ীদের তরফে দিনভর অঘোষিত বন্ধ পালিত হয়েছে এলাকায়। বিক্ষোভকারী দের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের মদতেই লাগাতার চুরি চলছে এলাকায়। 

কুমারগঞ্জের মোল্লাদিঘিতে বেশকিছুদিন ধরে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাগাতার চুরি চলছে এলাকায়। যার বিরুদ্ধে কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একপ্রকার ব্যর্থই হয়েছে পুলিশ, বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুক্রবার সকালে ফের এলাকায় দুটি দোকানে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে দুঃসাহসী এমন চুরির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার মানুষদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যে ঘটনাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় মোল্লাদিঘি এলাকায়। প্রতিবাদে মোল্লাদিঘি বাজারে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। জানা যায় এলাকার মুদি ব্যবসায়ী বাবাই বসাকের দোকানে এদিন তালা ভেঙে প্রায় ৭০ হাজার টাকার সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে দুস্কৃতিরা। একইসাথে এলাকার মোবাইল ব্যবসায়ী সাহাজাহান মোল্লার দোকানের তালাও ভাঙে দুস্কৃতিরা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় সে দোকানে চুরি করতে ব্যর্থ হয় দুস্কৃতিরা। আর এরই প্রতিবাদে অঘোষিত বন্ধ পালন করে ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতেই ধারাবাহিকভাবে চলছে এলাকায় চুরি। যার বিরুদ্ধেই এদিন সরব হয়েছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাবাই বসাক ও সাহাজাহান মোল্লারা বলেন, পুলিশ ফাড়ির সামনেই যদি এমনভাবে দুস্কৃতিরা তাদের দোকানপাট ভেঙে চুরি করে। তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা কোথায়?  পুলিশের মদতেই ধারাবাহিকভাবে এলাকায় চলছে এসব চুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় বসাক ও বিক্রম বসাকরা বলেন, একই রাতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুটি দোকানে চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় প্রতিদিনই এলাকায় লেগেই রয়েছে চুরির ঘটনা। যা নিয়ে কোন ব্যবস্থায় নেই পুলিশের। রাতে পুলিশ ও সিভিকরা থাকতেও কিভাবে ফাড়ির সামনে থেকে  চুরি হচ্ছে? যার বিরুদ্ধেই  প্রতিবাদ জানিয়েই সকলে ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের মদতেই চলছে এসব চুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here