ইঁচোড়ে পাকামি করতে গিয়ে অজগরের কামড় খেলো এক কিশোর

0
332

জলপাইগুড়িঃ-

ইঁচোড়ে পাকামি করতে গিয়ে অজগরের কামড় (ছোবল নয়) খেলো কিশোরের। তার চিকিৎসা করাতে সেই সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির কিশোরের পরিবার। ঘটনায় হুলুস্থুল ময়নাগুড়িতে।

জলপাইগুড়ির জেলার, ময়নাগুড়ি ব্লকের, ধওলাগুড়ি গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে এলাকার একটি বাশঝাড়ের পাশে রাখা পাটকাঠির স্তুপের মধ্যে একটি ছোট অজগর শাবক দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ির একটি সর্পপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের। কিন্তূ তারা পৌছানোর আগেই মৃন্ময় রায় নামের এক কিশোর অজগরটিকে ধরে খেলা দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শাবক হলে কি হবে, আদতে তো অজগর। কিশোরের শখের অত্যাচার তার সহ্য হয়নি। রেগেমেগে ১৩০টি দাতের কামড় বসিয়ে দেয় কিশোরের হাতে। ব্যাথায় চিৎকার জুড়ে দেয় কিশোর। তখন হুশ ফেরে সকলের। তড়িঘড়ি কিশোরকে নিয়ে আসা হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সাথে বস্তাবন্দী করে নিয়ে আসায় হয় অজগর শাবাকটিকেও।

খবর পৌঁছায় সর্পপ্রেমী সংগঠনের কাছে। তারা এসে ওই পরিবারের কাছ থেকে সাপটিকে উদ্ধার করেন এবং জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এদিকে ওই কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে সাধারণ মানুষের সচেতনা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। বন্যপ্রাণ আইন অনুয়ায়ী প্রশিক্ষণ ছাড়া সাপ ধরা বেআইনি। এছাড়া সাপ নিয়ে খেলা দেখানো সাপের ওপর অত্যচারা বলে গণ্য করা হয় বন্যপ্রাণ আইনে। ওই কিশোর যখন অজগর শাবকটিকে ধরে এবং খেলা দেখানোর চেস্টা করে তখন স্থানীয়রা কেন বাধা দেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। তাছাড়া বিষ না থাকলেও অজগরে মুখে ১৩০টি দাঁত থাকে। তার কামড়ে অসহ্য বাথা সহ নানান ক্ষতি হতে পারে দেহের। যদিও আক্রান্ত ওই কিশোর আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। প্রশিক্ষণ না থাকা সত্তেও যেভাবে সাপটিকে ধরে, বস্তাবন্দি করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ এবং বেআইনি।

এই বিষয়ে ময়নাগুড়ির একটি সর্পপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এদিন এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী জরিমানা ও জেল হতে পারে।
যদিও কিশোরের পরিবারে লোক সাপ ধরে খেলা দেখানো বিষয়টি স্বীকার করতে চায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here