ভূয়ো পুলিশ মামলায় গ্রেফতার চক্রের দুই কিংপিন।রবিবার ৪ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল বালুরঘাটে,সেখান থেকে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধাননগর থানার পুলিশ।

0
380

শিলিগুড়ি:-ভূয়ো পুলিশ মামলায় গ্রেফতার চক্রের দুই কিংপিন।রবিবার ৪ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল বালুরঘাটে,সেখান থেকে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে নিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধাননগর থানার পুলিশ।নকল পোশাক-ভুয়ো প্যারেড,শিলিগুড়িতে পুলিশের চাকরির নাম করে ভিন জেলার ১৯জনকে নিয়ে এসে প্রতারণার অভিযোগ।গ্রেফতার দুই মাস্টারমাইন্ড।আচমকা পাড়ার মাঠে পুলিশের প্রশিক্ষণ হচ্ছে।পাড়ারই বাসিন্দা এক পুলিশকর্মী দেখে বিষয়টিতে অবাকই হন।কারা হঠাৎ এখানে ট্রেনিং নিচ্ছে।নিজে পুলিশকর্মী হওয়ায় এমন হলে বিষয়টি তাঁর জানা থাকতো।তিনি কৌতুহলবশতঃ খোঁজ নিতে গিয়েই বিষয়টিতে সন্দেহের গন্ধ পান।শীঘ্রই স্থানীয় প্রধাননগর থানায় খবর দেন ফোন করে।তারপরই ফাঁস হয় প্রতারণা চক্রের।তদন্তে নেমে পুলিশ ২২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।টানা জেরার মুখে প্রধাননগর পুলিশ জানতে পারে,পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অন্য জেলা থেকে নিয়ে এসে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল।এরা প্রত্যেকেই বালুরঘাটের বাসিন্দা।জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ আরও জানতে পারে,ধৃত ২২জনের মধ্যে ৩জন মূল কালপিঠ।এরপর ওই তিনজনকে পৃথকভাবে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সমস্ত তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।পাশাপাশি এই ভুয়ো নেটওয়ার্কের সাথে আর কারা জড়িত রয়েছে এবং চক্রের চাবিকাঠি কোথা থেকে নাড়ানো হচ্ছে, সবটাই জানতে পারেন।এরপরই প্রধাননগর থানার পুলিশ ৪জনের একটি বিশেষ দল গঠন করে রবিবার পাড়ি দেয় বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে।সেখানে বালুরঘাট পুলিশের সহযোগিতায় জাল বিছিয়ে এই চক্রের মূল দুই কালপিঠকে গ্রেফতার করে আজই শিলিগুড়ি নিয়ে আসে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ধৃতদের নাম বিপ্লব মালি ওরফে পার্থ দেব এবং অলোক দাস। অভিযোগ,অভিযুক্তরা বালুরঘাটের ১৯ জন যুবক-যুবতীকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও থেকে ১৫ হাজার,কারও থেকে ৫০ হাজার,আবার কারও থেকে ১লক্ষ টাকা নিয়েছে।চাকরির জন্যে প্রশিক্ষণের নামে এর আগেও সকলকে শিলিগুড়িতে কয়েকবার নিয়ে এসেছিল অভিযুক্তরা।একবার দুধিয়া ফায়ারিং রেঞ্জে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের নামে খেলাধুলাও করায়।এমনকী অভিযুক্তরা ওই ১৯ জনকে পুলিশের উর্দি এবং টুপিও দিয়েছিল বলে জানা যায়।ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহরে।এমনকী সমস্ত ঘটনা দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশেরও।জানা গিয়েছে,ধৃত বিপ্লব এবং অলোকের কাছ থেকে ডায়েরি,এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা।জিজ্ঞাসাবাদে অলোক দাস স্বীকারও করেছেন,যে সে ৪-৫জন ক্যাডেটের কাছ থেকে প্রায় ১লাখ ১০হাজার টাকা নিয়েছে।এখন প্রধান নগর থানার পুলিশ পুলিশের ইউনিফর্মের অনুলিপি তৈরি করা অভিযুক্ত দর্জিকে ধরার লক্ষ্যে রয়েছে।পুলিশ পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে।প্রধান নগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত বিপুল এবং অলোকের পুলিশি রিমান্ডের দাবি জানিয়ে আজ শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here