রায়গঞ্জ ,১২ মে: মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে বাবা খুন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে খুন করে ছেলে৷ বাবাকে বাঁচাতে গেলে মায়ের হাতেও ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয় ছেলে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার টেনহরি গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম মরন চন্দ্র দাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে নীলকান্ত কে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ ব্লকের টেনোহরি গ্রামে এসে বাড়ি করেন মরন চন্দ্র দাস ও তার পরিবার। ছেলে নীলকান্ত দাস দিল্লি থেকেই মানসিক রোগ নিয়ে এখানে আসে। দিল্লির চিকিৎসকের অধীনেই তার চিকিৎসা চলছিল। নীলকান্তের স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। মৃত মরন দাসের স্ত্রী মালতী দাস বলেন, আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ নীলকান্তকে তার বাবা মরনবাবু দোকান থেকে ডাল কিনে আনতে বলেন। এই কথা শুনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে নীলকান্ত অসুস্থ বাবা মরনবাবুর ওপর দাঁ ( ধারালো অস্ত্র) নিয়ে চড়াও হয়। দাঁ দিয়ে কোপাতে থাকে তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়েন মরনবাবুর। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তার স্ত্রী মালতী দেবী। নীলকান্ত তার মায়ের হাতেও ধারালো অস্ত্রের কোপ দেয়৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ঘর থেকে পালিয়ে যায় নীলকান্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মরন চন্দ্র দাসের। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত খুনী নীলকান্তকে ধরতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে সে। স্থানীয় বাসিন্দারা চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে ধরে ফেলে অভিযুক্ত নীলকান্ত কে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। টেনোহরি গ্রামে ছুটে আসে পুলিশ। এরপর,স্থানীয় বাসিন্দারা নীলকান্ত কে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ মরন দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।