এক গৃহবধূকে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মৃতের স্বামী ছেলে সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে।

0
1428

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 15 ই মে দক্ষিণ দিনাজপুর: এক গৃহবধূকে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মৃতের স্বামী ছেলে সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আউশা গ্রামে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত গৃহবধূর স্বামী ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে। পুলিশ জানায় মৃত গৃহবধূর নাম তামিনা বিবি (৩৮) তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আউসা গ্রামে। এদিন সকালে গৃহবধূর বাড়ির পাশে একটি খালের মধ্যে তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মিতা স্বামী মমিনুর মিঞার অবস্থা বেশ ভালো। তার দুই মেয়ের পাশাপাশি তার একটি যুবক ছেলে কায়সার মিঞা রয়েছে। মৃতের আত্মীয় দাদা রাজ্জাক আলী সরকার, আত্মীয় শরিফুল মন্ডল, শেফাউর রহমানেরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েকে স্বামী ও ছেলে ও তার এক নিকটাত্মীয় মিলে প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পড়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করা হয়। প্রমাণ লোপাট করতে মৃতদেহ খালের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জমি না পেয়ে এমন ঘটনা করেছে ওরা। থানায় তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাই। মৃতের দুই প্রতিবেশী হায়দার আলী, জাইরুল মিঞারা জানিয়েছেন, খুবই নক্করজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থানিক সেই দাবি জানায়। এমন ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই সেখানে গঙ্গারামপুর মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক দীপ কুমার দাস, থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু সহ বিরাট বাহিনী সেখানে ছুটে যায়। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতের স্বামী সহ ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে।উদ্ধার করা হয়েছে খুনের কাণ্ডে সেই লোহার রডটিও। গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে মৃতের পরিবারের তরফে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এমন ঘটনায় পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here