গাজোল ,সব্যসাচী মন্ডল,২৪ মে :- রাত পেরোলেই পবিত্র ঈদ উৎসবে মেতে উঠবেন সারাদেশের সংখ্যালঘু মানুষেরা। গোটা রমজান মাস রোজা করে এই ঈদের দিনের অপেক্ষায় থাকেন তারা। এই দিনে সমস্ত দুঃখ কষ্ট ভুলে একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে নামাজ পড়ে নিজেদের ভালোবাসা বিনিময় করে তারা। আর এই ঈদকে সামনে রেখেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ঈদ কমিটি থেকে শুরু করে প্রশাসন ও দোকান বাজারে। আগামীকাল ঈদ তাই নতুন বস্ত্র কিনতে যেমন ভিড় জমেছে গাজোল ব্লকের কাপড়ের দোকানগুলোতে, ঠিক তেমনি খাদ্য সামগ্রীর দোকান গুলোতে জমে উঠেছে ভিড়। তবে এই ঈদে বিশেষ করে বিক্রি হয় সিমাই। এই ঈদে সীমাইয়ের এর চাহিদা থাকে বাজারে। আর সীমায় বিক্রি করেই কিছুটা লাভের আশা দেখতে চান দোকানদাররা। তবে এবারের ঈদে কিছুটা হলেও ভাটা এনেছে করোনা সংক্রমনের আতঙ্ক। প্রশাসনিক নির্দেশ রয়েছে বাজারে ভিড় করা যাবে না, বাইরে বেরোতে হলে মাস্ক পড়ে বের হতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করতে হবে বাজার, এমনকি সরকারিভাবে এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সকলে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়তে পারবেন না ,যা পবিত্র ঈদের খুশির আনন্দে কিছুটা হলেও নিরানন্দের ছায়া এনেছে সকলের মুখে। তবু কোন কিছুই এই আনন্দ কে হার মানাতে পারবে না। তাই আগামী কালের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।নতুন জামা-কাপড় কিনতে যেমন দোকানে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ ঠিক তেমনি আনন্দের সন্ধিক্ষণ’ অপেক্ষা করে মুখিয়ে আছেন তারা। তবে আগের বছরের তুলনায় এ বছর নতুন বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী কিনতে লোকজন কম থাকায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
একদিকে যেমন আনন্দ উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ সমস্ত মানুষের মনে তবে এইবার এ কিছুটা বিষাদ রয়েছে এই পবিত্র ঈদ পালনে। আগামী দিনের প্রস্তুতি হিসেবে সাধারণ মানুষ যেমন বাজারে ভিড় জমেছে তার পাশাপাশি গাজোল পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন বিভিন্ন এলাকার মৌলবি সাহেব দের নিয়ে একটি শান্তি বৈঠক করা হয় গাজোল থানায়। করোনা ভাইরাসের আবহে এদিনের এই বৈঠক দীর্ঘক্ষন না চললেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলের উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ জানায় যাতে করে এই বিশ্ব মহামারী ভাইরাসের প্রাক্কালে সকলে একত্রিত হয়ে নামাজ না পড়তে আসেন। এদিন মৌলবি সাহেবদের পুলিশ প্রশাসনের থেকে অনুরোধ জানানো হয় যাতে সকলেই সুস্থ, আনন্দিত থেকে উৎসবের দিনটি উৎসবের মতোই পালিত হোক।