তাজ্জব ঘটনা! ব্যাঙ্কে একাউন্ট নেই, অথচ স্টেটমেন্ট চেয়ে হুশিয়ারি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বালুরঘাটের হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রীর।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৩ অক্টোবর ——— ব্যাঙ্কে একাউন্টই নেই অথচ হুশিয়ারি নোটিশ পুলিশের! তাজ্জব এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক এক রাজমিস্ত্রী। বালুরঘাটের আমতলী এলাকার বাসিন্দা হতদরিদ্র বাপী বর্মনের কাছে উত্তরপ্রদেশের তাজগঞ্জ থানা থেকে এমন নোটিশ এসে পৌঁছাতেই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে ওই পরিবারের। ঘটনা জানিয়ে স্থানীয় বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেও হতদরিদ্র ওই রাজমিস্ত্রীর সমস্যা নিয়ে সেরকম কোন সদুত্তর দেননি পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বালুরঘাটের আমতলী এলাকার বাসিন্দা চল্লিশোর্ধ্ব বাপী বর্মন, জন্মের পর থেকে কোনদিন কলকাতা শহরই দেখেন নি। পেশায় রাজমিস্ত্রী হবার কারনে সকাল থেকে সন্ধ্যে অবধি অন্যের বাড়ি বানাবার কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তিনি। চলতি মাসে যার কাছেই সুদূর উত্তরপ্রদেশের তাজগঞ্জ থানা থেকে একটি খামবন্দী চিঠি এসে পৌঁছায়। হিন্দি ভাষায় লিখা যে চিঠি খুলে অন্যকে দিয়ে পড়াতেই চোখ কপালে ওঠে ওই হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রীর। যে চিঠিতে তাজগঞ্জ থানার পুলিশ ওই রাজমিস্ত্রীর কাছে তার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দাবি করে। শুধু তাই নয়, কোন বড়সড় অবৈধ আর্থিক লেনদেনেও তিনি জড়িত রয়েছেন এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের তাজগঞ্জ থানা থেকে পাঠানো খামবন্দী সেই চিঠিতে। আর এরপরেই দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ওই হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রীর কপালে। তার দাবি আজ অবধি কোন ব্যাঙ্কেই তিনি একাউন্ট খোলেন নি। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, উত্তরপ্রদেশ তো দূরের কথা জন্মের পর থেকে আজ অবধি কোনদিন কলকাতাই দেখেন নি। প্রশ্ন এখানেই, তাহলে কিভাবে সুদূর উত্তরপ্রদেশের তাজগঞ্জে ওই ব্যক্তির নামে একাউন্ট খোলা হল ? কাহারাই বা জড়িত এই ঘটনার পিছনে ? যদিও অনেকে মনে করছেন আঁধার কার্ড ব্যবহার করেই সাইবার প্রতারণার জালে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হতদরিদ্র ওই ব্যক্তিকে। ঘটনার পরে কিছুটা বিচলিত হয়ে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেও এ নিয়ে রাজমিস্ত্রীর পাশে সেভাবে দাঁড়ায়নি পুলিশ প্রশাসন বলে অভিযোগ।
বাপী বর্মন বলেন, কোনদিন কলকাতায় দেখেন নি তিনি। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কেও তার নামে কোন একাউন্ট নেই। তারপরেও কিভাবে পুলিশের নোটিশ তার কাছে এল সেটা ভাবতেই পারছেন না। এনিয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় গেলেও তারা সেভাবে কোন সহযোগিতা করতে পারেনি তাকে।