মাত্র দুটি দমকল ইঞ্জিনের ভরসায় বালুরঘাটের ২৯২ টি পুজো মন্ডপ! উদ্বিগ্ন দমকল বিভাগ

0
262

মাত্র দুটি দমকল ইঞ্জিনের ভরসায় বালুরঘাটের ২৯২ টি পুজো মন্ডপ! উদ্বিগ্ন দমকল বিভাগ। মকড্রিল করে পুজো উদ্যোক্তাদের সচেতনতার পাঠ দমকল আধিকারিকদের।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৬ অক্টোবর ———- দুটি দমকল ইঞ্জিনের ভরসায় ২৯২ টি পুজো মন্ডপ! উদ্বিগ্ন বালুরঘাটের দমকল বিভাগ। মকড্রিল করে পুজো উদ্যোক্তাদের সচেতনতার বার্তা দেবার পাশাপাশি হাতে কলমে চটজলদি আগুন নেভাবার প্রক্রিয়াও শেখান দমকল আধিকারিকরা। সোমবার বালুরঘাটের দমকল বিভাগ দ্বারা আয়োজিত একটি মকড্রিল অনুষ্ঠান থেকে এমনই বার্তা দিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। যেখানে পুজো মণ্ডপের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে নিজেদের অসহায়তার কথাও তুলে ধরেছেন দমকল আধিকারিকরা। যা নিয়েই পুজোর মুখে কিছুটা দুশ্চিন্তায়ও রয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে এবারে জেলার সদর শহর বালুরঘাটেই প্রায় ২৯২ টি দুর্গাপূজার অনুমতি মিলেছে সরকারী ভাবে। বেসরকারি সংখ্যা অবশ্য ৫০০ কেও ছাড়িয়েছে। পুজোর দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে বালুরঘাট দমকল বিভাগে। কেননা দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী বালুরঘাট দমকল দপ্তরে মাত্র দুটি ইঞ্জিন রয়েছে আগুন নেভাবার কাজে ব্যবহারের জন্য। যে সংখ্যায় যেন মাথা ব্যাথার অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে। কেননা প্রশাসনের অনুমোদিত ২৯২ টি পুজো মন্ডপে একসাথে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কিভাবে তার মোকাবিলা করবেন সেই দুশ্চিন্তায় যেন ঘুম উড়েছে অধিকাংশ দমকল আধিকারিকদেরই। যা নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন বালুরঘাট দমকল বিভাগে ছুটে আসেন দপ্তরের ডিভিশনাল অফিসার শিবানন্দ বর্মন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জোনের দমকল আধিকারিক সুদীপ্ত মুখার্জ্জী, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়, বালুরঘাট দমকল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বাপন দাস সহ একঝাক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিন প্রথমেই দমকল আধিকারিকরা এনিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনা সারেন। এরপরেই শহরের বেশকিছু পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবিরের পাশাপাশি মকড্রিলের মাধ্যমে হাতে কলমে আগুন নেভাবার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন দমকল আধিকারিকরা। সবশেষে বেশকিছু দুস্থ মানুষদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিয়েছেন দমকল আধিকারিকরা।

দমকল বিভাগের ডিভিশনাল অফিসার শিবানন্দ বর্মন বলেন, মাত্র দুটি ইঞ্জিন দিয়ে কোনভাবেই প্রশাসনের অনুমোদিত ২৯২ টি পুজো মন্ডপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে তারা যথেষ্টই চিন্তিত। একসাথে একাধিক জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটলে তারা অনেকটাই সমস্যায় পড়বেন। তাই পুজো উদ্যোক্তাদের নানাভাবে সচেতন করবার পাশাপাশি এদিন একটি মকড্রিল করে চটজলদি আগুন নেভাবার প্রক্রিয়াও দেখানো হয়েছে।

বীথি মন্ডল নামে এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাবার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া যেভাবে দমকল আধিকারিকরা দেখিয়েছেন তা তারা শিখে নিয়েছেন। পুজোর দিনগুলিতে যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতেই এমন প্রচেষ্টা দমকল বিভাগের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here